শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো নিয়ে ভুল ধারণা
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
- সেপ্টেম্বর ১, ২০১৮
বুকের দুধ খাওয়ানো নিয়ে অনেকের মধ্যে ভুল ধারণা রয়েছে। অনেকেই মনে করে সিজারিয়ান অপারেশনের পর বুকের দুধ খাওয়ানো যায় না। অথচ অপারেশনের পর পোস্ট অপারেটিভ রুমে নিয়ে গিয়ে বাচ্চাকে সহজেই বুকের দুধ খাওয়ানো যায় । অনেকে আবার জন্মেও পর বুকের দুধ না দিয়ে মধু বা চিনি দেন বাচ্চাকে । এটাও ঠিক নয় । কেউ কেউ রয়েছেন বাচ্চার ডায়রিয়া হলে মায়ের দুধকে দায়ী করেন , এটাও ঠিক নয়।
শিশুকে কিন্তু সময় বেঁধে নয়, বারবার এবং যতবার শিশু চায়, ততবারই দুধ দিতে হবে। ধৈর্য ধরে খাওয়াতে হবে, খাওয়া শেষের আগেই সরিয়ে নেওয়া উচিত নয়। কারণ, বাচ্চা দুধ টানলে মায়ের মস্তিষ্কের ভেতরের পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে হরমোন নিঃসৃত হয়ে বেশি বেশি দুধ তৈরির উদ্দীপনা জাগায় । বাচ্চা যত বেশি দুধ টানবে তত বেশি হরমোন নির্গত হবে আর তত বেশি দুধ উৎপাদিত হবে। তাই বুকের দুধ তৈরির একমাত্র উদ্দীপনা হলো শিশুর বুকের দুধ টানা। এ কারণেই যে মায়েরা একেবারে শুরু থেকেই বারবার বুকের দুধ দেননি, তাঁদের এই উৎপাদন প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। এতক্ষণে নিশ্চয় বুঝেছেন দুধ পাচ্ছে না বলে ফমুর্লা বা কৃত্রিম দুধ কিছুতেই দেওয়া যাবে না, এতে মায়ের দুধ আরো কমে যাবে এবং শিশুর বুকের দুধ টানার অভ্যাসটাও চলে যাবে।
শিশুর কান্না থামাতে মুখে কোনো রকম চুষনি দেবেন না, এতে নিপল কনফিউশন হয়। কখনো কখনো পাম্প ব্যবহারে সুফল পাওয়া যায়। পাম্প করা দুধ প্রয়োজনে বাটি-চামচ দিয়ে শিশুকে দেওয়া যায়। বুকের দুধ খাওয়ানোর ভুল পদ্ধতিও দুধ তৈরির প্রক্রিয়াকে বাধা দেয় । তাই প্রথমেই মায়ের বাচ্চাকে কোলে শোয়ানো ও বুকে ধরা ঠিক রয়েছে কি না দেখতে হবে । বুকের দুধ না পেলে স্তনের বোটাকে শিশুর জন্য নিয়মিত চুষতে দিতে হবে। একবারে এক স্তন থেকেই দুধ খাওয়াতে হবে । দুই দিক থেকে খাওয়াবেন না । কারণ, প্রথম দিকের দুধে পানির পরিমাণ বেশি থাকে আর শেষ দিকের ঘন দুধে পুষ্টি বেশি থাকে । এতে বাচ্চার পেটও ভরে ।
আর/এস