ত্বকে ব্রণের দাগ হবে না এ কাজগুলো করলে,জেনে নিন
- কবিতা আক্তার
- ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২
বয়সন্ধিকাল থেকেই মেয়েদের ব্রণের সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। ব্রণ থেকে নির্গত রক্ত ও রক্ত রস মুখের ক্ষত ও দাগের সৃষ্টি করে। এতে চিরস্থায়ী দাগ বা গর্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। কারণ ত্বকের ওই জায়গায় মেলালিন জমে দাগ হয়ে যায়। আর ব্যাকটেরিয়া ত্বকের গভীরে প্রবেশ করামাত্র রক্তের শ্বেতকণিকা দ্রুত সে ব্যাকটেরিয়া কে ধ্বংস করতে চায়। এতে ত্বকের স্বাভাবিক গঠনতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই কোন ব্রণ ফেটে গেলে কি করনীয় জেনে নিন।
আরো পড়ুনঃ এলার্জির থেকে বাঁচতে হলে জানুন
যখন তখন হাত দেবেন না: ব্রণ কেটে যাওয়ার পর অধিকাংশ সময়ই সেখানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। বারবার হাত দিলে হাতের নোংরা সেখানে মিশে ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে। তাই হাত না ধুয়ে বারবার হাত দিতে মানা করা হয়।
সব সময় ক্ষত পরিষ্কার রাখবেন: ব্রণ ফেটে আসার পর তুলা দিয়ে ভালো করে জায়গাটা পরিষ্কার করে নিতে হবে। কোন অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল মলম লাগানো জরুরি। সারা দিন যদি বাহিরে থাকতে হয় তাহলে ধুলা-ময়লার হাত থেকে জায়গাটা বাঁচাতে অল্প করে ভেসলিন লাগিয়ে নিতে পারেন। এতে জায়গাটার উপরে একটি স্তর পড়ে নোংরা আটকে দেবে।
ফোলা ভাব কমাতে যা করবেন: কোন ব্রণ ফেটে যাওয়ার পরও সেখানে অনেকটা ফুলে থাকে এবং জ্বালা করে। তাই বরফ লাগাতে পারেন জায়গাটায়। তারপর অ্যালোভেরা জেল লাগালে জ্বালা ভাব অনেকটাই কমে যাবে।
আরো পড়ুনঃ আপনার সন্তান বুদ্ধিমান ও মেধাবী হবে সহজ এই ১০ উপায়ে
ত্বক পরিষ্কার রাখুন: তৈলাক্ত ও ময়লা ত্বক, খাবার ঠিকমতো হজম না হওয়া, ঘুমের সমস্যা এবং হরমোনের কারণে ব্রণের সৃষ্টি হতে পারে। লোক দিয়ে ব্রণ খোটান লোভ সংবরণ করার চেয়ে বরং সচেতন হওয়া জরুরী। খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম দরকার। ঘাম ও ধুলা বালি জমে ত্বকের লোমকূপ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। লোম কুপের গোড়ায় ময়লা জমে ব্রণের সৃষ্টি হয়।
নিয়মিত তাই ত্বক পরিষ্কার করতে হবে। এছাড়া পানির অভাব পূরণ করতে প্রতিদিন ৪ লিটার পানি পান করবেন। এভাবে নিয়ম মেনে চললে ব্রণ হবে না। মুখের ত্বকে কোন দাগ হবে না।