ঘামাচি থেকে মুক্তি পেতে যা করবেন
- কবিতা আক্তার
- জুন ৯, ২০২৩
গরমে ত্বকে বিভিন্ন সংক্রমণ দেখা দেয়। বিশেষ করে প্রচন্ড তাপমাত্রায় অনেকের ত্বকে স্যানট্যান দেখা দেয়। পাশাপাশি ত্বকে ফুসকুড়ি ও ঘামাচির মত সমস্যা বাড়তেই থাকে। ফলে চুলকানি, ব্যথা ও ঘা পর্যন্ত হতে পারে।
বিশেষ করে গরমে অনেকেরই ঘাড়ে, বুকে, কুচকিতে ও বগলে ফুসকুড়ি বা ঘামাচি হয়। চুলকানির কারণে আক্রান্ত স্থান লালচে হয়ে ফুলে ওঠে ও মরা চামড়া উঠতে থাকে।
অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার ফলে শরীরের লোম কুপের মুখ বন্ধ হয়ে এসব ফুসকুড়ি হয়। সংবেদনশীল ত্বকে এই সমস্যারও বেশি হয়। এ কারণে গরমে শিশুদের ত্বকেও এর প্রভাব পড়ে।এমন সমস্যার সম্মুখীন হলে অনেকেই তাৎক্ষণিক কি করবেন বুঝতে পারেন না।
চলুন জেনে নেওয়া যা করণীয়-
বডি ওয়াশ ব্যবহার করুনঃ গরমে গোসলের বিকল্প নেই। দুই থেকে তিনবার গোসল করুন। এতে ত্বক ঠান্ডা থাকবে। গোসলের সময় খুব বেশি সুগন্ধযুক্ত সাবান ব্যবহার করবেন না।হালকা বডি ওয়াশ ব্যবহার করা ভালো। এতে ত্বকে পি এইচ ব্যালেন্স বজায় থাকবে। প্রতিবার গোসলের পর অন্তর্বাসসহ পোশাক বদলে ফেলুন।
ঢিলেঢালা পোশাক পড়ুনঃ গরমের সময় টাইট বা ফিটিং পোশাক পরা থেকে বিরত থাকুন। শরীরে যেন বাতাস প্রবেশ করতে পারে সেজন্য ঢিলেঢালা পোশাক পড়ুন।টাইট পোশাক পরলেই ত্বকে সংক্রমণ দেখা দেবে। মনে রাখবেন, ত্বকের যেসব স্থানে বেশি ঘাম হয় সেসব স্থানগুলো যাতে পরিষ্কার ও খোলামেলা থাকে। তাহলেই ঘামাচি বা ফুসকুড়ি উঠবে না।
আরো পড়ুনঃ শিশুর ঘামাচি প্রতিরোধে করণীয়
বরফ সেঁকঃ গোসলের আগে প্রতিবার ত্বকের আক্রান্ত স্থানে বরফের সেঁক নিতে পারেন। এতে জ্বালাপোড়া ভাব ও চুলকানি কমবে। একটি তোয়ালের মধ্যে কিছু বরফ নিয়ে পুরো শরীরে কিছু সময়ের জন্য সেঁক নিতে পারেন।
চন্দনঃ চন্দন ত্বকের বিভিন্ন সংক্রমণ রোধে যাদুকরী ভূমিকা রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে, চন্দন কাঠের গোড়ায় অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি ও অ্যানালজেসিক আছে। যা ত্বকের বিভিন্ন সংক্রমণ রোধ করে। পাশাপাশি আক্রান্ত স্থানের জ্বালাপোড়া ভাব কমায়। চন্দনের গুড়া সঙ্গে পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখ গলা সহ আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ বাচ্চার ঘামাচি সারাতে ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করছেন?
বেকিং সোডাঃবেকিং সোডা ব্যবহারে ত্বকের চুলকানি বা প্রদাহ মুহূর্তেই কমে। এটি ত্বকের সংক্রমণ রোধে দুর্দান্ত একটি ঘরোয়া প্রতিষেধক। পানির সঙ্গে কয়েক টেবিল চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে গোসল করুন। এভাবে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে তারপর শরীরে পরিষ্কার পানি ঢেলে গোসল করুন।
নিম পাতাঃ নিম পাতা খুব ভালো অ্যান্টিসেপটিক। নিমের তেল, নিম পাতা বাটা দুটোই খুব ভালো কাজে দেয় চুলকানির সমস্যায়। এজন্য এক বালতি পানিতে এক মুঠো নিমপাতা ভিজিয়ে রোদে রাখুন কিছুক্ষণ। গোসলের পর এই পানি শরীরে ব্যবহার করুন।
আরো পড়ুনঃ ঘামাচি! একটি চর্মরোগ, জেনে নিন বাঁচার উপায়
টেল কম পাউডারঃ গরমে সবাই কমবেশি টেলকম পাউডার ব্যবহার করে থাকেন। এটিও ত্বকের জন্য উপকারী। বিশেষ করে ত্বককে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া থেকে বাঁচায় পাউডার। অবশ্যই সুগন্ধিহীন পাউডার ব্যবহার করতে হবে। বগল, কুচকি, ঘাড়, বুকে অর্থাৎ শরীরের ঢেকে রাখা স্থানগুলোতে পাউডার ব্যবহার করতে হবে।