কলা দিয়ে চুল পড়া ঠেকাবেন যেভাবে
- ওমেন্স কর্নার
- জুন ২৭, ২০২৩
একজন মানুষের দিনে গড়ে একশটা পর্যন্ত চুল পড়াকে ধরা হয় স্বাভাবিক। সমস্যা হয় যখন চুল গজানোর হার কমে যায়। সে জন্য অনেক কিছুই দায়ী। বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে বংশপরম্পরায় আসা শারীরিক বৈশিষ্ট্য। মেয়েদের ক্ষেত্রে গর্ভধারণ, গর্ভপাত, স্তন্যদান, মেনোপজ ইত্যাদি কারণেও পড়তে পারে নেতিবাচক প্রভাব।
তবে সেই প্রভাব এড়ানো যেতে পারে কলার সদ্ব্যবহার করে। কারণ, এতে আছে মেয়েদের চুল পড়ার সমাধানের সব পুষ্টি উপাদান। আছে পটাশিয়াম, সিলিকা, ম্যাগনেশিয়াম, অ্যান্টি–অক্সিডেন্টস, ভিটামিন সি, ফাইবার, প্রাকৃতিক তেল ও প্রোটিন। এমনকি কলার খোসাতেও আছে প্রয়োজনীয় নানা পুষ্টি উপাদান।
আরো পড়ুন: চুল সিল্কি করতে কলার গুনাগুন জানুন
আর তাই যেসব মেয়ের চুল পড়ে, তাঁরা কলা দিয়ে বানাতে পারেন এই হেয়ার মাস্কগুলো। নিয়মিত ব্যবহারে পেতে পারেন উপকার।
কলা ও দইয়ের হেয়ার মাস্ক:
দুটো পাকা কলার খোসা ছাড়িয়ে ব্লেন্ড করে নিন। তারপর তাতে দই মিশিয়ে আরেকটু ব্লেন্ড করুন। মাথার ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করবে দই। এই মাস্ক সপ্তাহে দুই দিন চুলে ব্যবহার করুন। একেকবার দিয়ে ১৫ মিনিট রাখলেই চলবে।
কলা ও অ্যাভোক্যাডো হেয়ার মাস্ক:
কলা তো নিজেই পুষ্টির ভান্ডার। সেই সঙ্গে অ্যাভোক্যাডোতে রয়েছে ভিটামিন ই ও বায়োটিন। দুই ফল মিশিয়ে ভালো করে পেস্টের মতো মাখিয়ে নিন। মাথার ত্বকে দিয়ে ১৫ থেকে ৩০ মিনিট রেখে দিন। তারপর কোমল শ্যাম্পু ব্যবহার করে মাথা ভালো করে ধুয়ে নিন।
আরো পড়ুন: উকুন তাড়ানোর ঘরোয়া ৫ উপায় জেনে নিন
কলা ও মধুর হেয়ার মাস্ক:
কলার সঙ্গে মিশিয়ে নিন মধু। এই মধু মাথার ত্বকের শুষ্কতা দূর করবে। বাড়াবে চুলের বৃদ্ধি। মাথায় ব্যবহার করুন ১৫ মিনিটের জন্য। তারপর ভালো করে ধুয়ে নিন।
কলা, পেঁপে ও মধুর হেয়ার মাস্ক:
পেঁপে থেকে ফলিক অ্যাসিড বের হয়, যা চুলের গোড়া শক্ত করে। এই পেঁপে ও কলা নিয়ে ছোট ছোট টুকরা করে কাটুন। তারপর ভালো করে মাখিয়ে নিন। তারপর মধু মিশিয়ে ব্লেন্ড করে পেস্ট বানান। মাথার ত্বকে দিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন।
আরো পড়ুন: স্থায়ীভাবে খুশকি দূর করতে রসুনের ৫ ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নিন
কলা ও অ্যালোভেরার হেয়ার মাস্ক:
অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীতে থাকে বেটা-ক্যারোটিন ও ভিটামিন। এর পাতা থেকে পাল্প সংগ্রহ করুন। কলা ছোট ছোট করে টুকরা করুন। দুটো মিলিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। ভালো করে পেস্ট করে নিন। খেয়াল রাখবেন যেন কোনো পিণ্ড না থাকে। মাথার ত্বকে ব্যবহার করে ১৫ থেকে ৩০ মিনিট রাখুন।