ত্বকে দাদ হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক:
  • ডিসেম্বর ২৫, ২০১৮

দাদ এক ধরনের ছোঁয়াচে রোগ। প্রথমে একটু থেকে হলেও পরে বাড়তে থাকে।  তাই পরিবারের কেউ এমন রোগে আক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা করা উচিত। দাদ রোগটি মূলত কিছু ফাঙ্গাস-এর আক্রমণে হয়ে থাকে এবং এটি সারা শরীরে না হয়ে একটি অংশেও হতে পারে। তবে নখ, ত্বক এবং স্ক্যাল্পে বেশি মাত্রায় হতে দেখা যায়।

কারণ: ছত্রাকের কারণে দাদ হয়ে থাকে। সাধারনত ভেজা বা স্যাঁতস্যাঁতে জায়গা এবং ভালভাবে আলোবাতাস পায় না এ ধরনের জায়গায় ছত্রাকের জন্ম হয়। অপরিস্কার অপরিচ্ছন্নতা, আটসাট অন্তর্বাস ব্যবহার করলে, অপরিষ্কার কাপড় ব্যবহার করলে দাদ হয়। সংক্রামক ব্যক্তির কাপড়, গামছা, তোয়ালে ব্যবহার করলেও দাদ হতে পারে।

তাছাড়া মাথার চিরুনি দ্বারা ও পায়ের পুরনো মোজা দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে। সাধারণত অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন শরীর, দীর্ঘ সময় ভেজা থাকে, ত্বকে ক্ষত আছে এমন শরীর ছত্রাকগুলো দ্বারা আক্রান্ত হয়। যারা বেশি ঘামেন এবং যাদের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি। ঘাম এ রোগের জন্য দায়ী ফাঙ্গাসকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

কোথায় বেশি হয়: মাথার ত্বকে বা চুলের নিচে দেখা যায়। দাড়িতে, পায়ের ভাঁজে দাদ হয়। পিঠ, পেট, গায়ে, নখে, পায়ের তলায় এবং পাতায় দাদ হয়।

লক্ষণ: দাদ হলে প্রথমে আক্রান্ত স্থানে ছোট লাল গোটা হয় এবং সামান্য চুলকায়। পরে আক্রান্ত স্থানে বাদামী বর্ণের আইশ হয় এবং স্থানটি বৃত্তাকারে বড় হতে থাকে। এটি দেখতে অনেকটা চাকার লাগে।

দাদ প্রতিরোধে করণীয়: ক্ষতস্থান শুকনো রাখার চেষ্টা করুন। সেই স্থানে যতটা সম্ভব তেল-সাবান না লাগানো ভাল। সংক্রমণের জায়গাটা যতটা সম্ভব খোলা রাখতে হবে এবং গেঞ্জি, মোজা ইত্যাদি প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে। উষ্ণ গরম পানি ও ভাল অ্যান্টিসেপ্টিক সাবান দিয়ে গোসল করে, পরে শুকিয়ে প্রয়োজনীয় ওষুধ ব্যবহার করুন।

এটি ছোঁয়াচে রোগ, তাই পরিবারে একজনের হলে তার কাপড় আলাদা করে ফেলুন এবং তার জন্য ব্যবহার করা জিনিসপত্র নিয়মিত পরিষ্কার করুন। দাদ রোগে সবচাইতে বেশি আক্রান্ত হয় শিশুরা। তাই তাদের পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে শেখাতে হবে। পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের চিরুনি, তোয়ালে, ব্রাশ আলাদা করুন। অন্যের ব্যবহার করা সামগ্রী এড়িয়ে চলুন। পোষ্য-প্রাণীর সংস্পর্শে আসার পর হাত ধুয়ে ফেলুন।

টি/আ

Leave a Comment