মাস্ক পরে ত্বকের সমস্যা বাড়ছে? কি করবেন জেনে নিন
- তাসফিয়া আমীন
- আগস্ট ৮, ২০২০
করোনাভাইরাসের প্রকোপে মানুষের জীবনযাপনই ওলট পালট হয়ে গিয়েছে। অদৃশ্য শত্রুকে ফাঁকি দিতে এখন বেশির ভাগ মানুষের জীবনের অঙ্গ নাক মুখ ঢাকা মাস্ক। এর ফলে বাড়ছে ব্রণ তথা ত্বকের সমস্যা। এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় কী? অনেকক্ষণ মাস্ক পরে থাকার কারণে ছোট থেকে বয়স্ক অনেকেরই ব্রণের সমস্যা দেখা যাচ্ছে। যে কোনও বয়সেই মাস্কের সংস্পর্শে ব্রণের ঝুঁকি বাড়ে। বিশেষ করে যাদের এক নাগাড়ে মাস্ক পরে থাকতে হয়, তাদের সমস্যার ঝুঁকি বেশি। সার্জিকাল ফেস মাস্ক যে উপাদানে তৈরি, তা ভাইরাস আটকাতে অত্যন্ত কার্যকর হলেও ত্বকবান্ধব নয়। বিশেষ করে যাদের সংবেদনশীল ত্বক, তাদের এক নাগাড়ে মাস্ক পরার কারণে ব্রণ-সহ নানা র্যাশের ঝুঁকি বাড়ে। তুলনামূলক ভাবে সার্জিক্যাল মাস্ক বা কিছু না হলেও পরিষ্কার সুতির কাপড়ের মাস্ক অনেক বেশি নিরাপদ।
আরো পড়ুন : গর্ভাবস্থা ও কিডনির অসুখ
রঙিন মাস্ক আরো ক্ষতিকর। মূলত রঙে ব্যবহৃত রাসায়নিক এই সমস্যার জন্য দায়ী। অ্যাকনে বা এই জাতীয় স্কিন র্যাশের অন্যতম কারণ রোমকূপের মুখ আটকে যাওয়া। এর হাত থেকে রেহাই পেতে ভাল করে মুখ পরিষ্কার করে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে তবেই মাস্ক পরতে হবে। যাদের অত্যন্ত বেশি ব্রণ বা অ্যাকনের সমস্যা আছে, তারা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি অয়েল ফ্রি লোশন লাগিয়ে মাস্ক পরবেন।
ব্রণ বা যে কোনও স্কিন র্যাশের সমস্যার মূলে অবশ্য রয়েছে অপরিছন্নতা। তাই মুখ পরিষ্কার রাখা জরুরি। যাদের অফিসে টানা ৭–৮ ঘণ্টা মাস্ক পরে থাকতে হয়, তাদের এই সমস্যার ঝুঁকি বেশি। কাজের ফাঁকে সম্ভব হলে অফিসের ফাঁকা করিডরে গিয়ে মাস্ক খুলে কিছু ক্ষণ থেকে মাস্ক স্যানিটাইজ করে আবার পরে নিন। কিংবা অফিসে খাবার আগে মাস্ক খুলে মুখ হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে নিয়ে খাবার পর মুখে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে অন্য পরিষ্কার মাস্ক পরুন। ব্রণ হলে কখনওই তা হাত দেওয়া যাবে না, তা হলেই কালো দাগ হয়ে যাবে।
আরো পড়ুন : প্রসূতি মায়ের যত্নে করনীয়