ঠোঁট ফাটা আর রক্ত পড়া কমানোর সহজ উপায়
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- ডিসেম্বর ৪, ২০২০
কেন ঠোঁট ফাটে আর রক্ত পড়েঃ শীত ছাড়াও কিন্তু আরো কিছু কারণে ঠোঁট ফাটে। আর বেশি ঠোঁট ফাটা মানেই রক্ত পড়া। ঠোঁট ফাটার অন্যতম বড় কারণ বারবার ঠোঁট চাটা। অনেকেই আছে যারা জিভ দিয়ে বারবার ঠোঁট চাটে। এতে ঠোঁট পাতলা হয়ে যায়। পাতলা ঠোঁট তাড়াতাড়ি ফেটে যায়। আরেকটা কারণ হলো ডিহাইড্রেশন।
কিভাবে ঠোঁট ফাটার সমস্যা কম করবেন?
বিশেষ কিছু ট্রিটমেন্ট না করেও কিন্তু ঠোঁট ফাটার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
১. আর্দ্রতা বজায় রাখার ব্যায়ামঃ একটা ছোট ব্যায়াম বলি আগে। আপনার দুটো ঠোঁট মুড়িয়ে দাঁতের কাছে নিয়ে গিয়ে দাঁতের ওপরে রাখুন। এবার ওই অবস্থায় ঠোঁট একপাশ থেকে আরেক পাশ অবধি ঘোরান। একটু জোর দিয়ে ঘুরাবেন। আপনার সামান্য অসুবিধা হয় কিন্তু খুব বেশি ব্যথা লাগে না। এভাবে এক মিনিট মতো করুন। এভাবে করলে কিন্তু প্রায় সঙ্গে সঙ্গে বুঝবেন ঠোঁট ফাটা জায়গাটা ঠিক হয়ে গেছে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় রক্তশূনতা কেন হয়?
২. ঠোঁটে প্রেসার দিয়ে ব্যায়ামঃ এবার আরেকটা ব্যায়ামের কথা বলি। রিল্যাক্স করে বসুন আর ঠোঁট দুটো একসঙ্গে জোড়া করুন। দাঁত দিয়ে জিভ চাপবেন না। এবার ঠোঁটের মাঝখানটা এভাবে গোল করুন যেন একটি পেনসিল ঢুকিয়ে ফেলতে পারেন। এবার আপনার ঠোঁট দিয়ে প্রেসার দিন এমনভাবে যেন আপনি ওই পেনসিল ভাঙছেন। কিন্তু এমন প্রেসার দেবেন না যাতে ঠোঁট কুঁচকে যায় বা ভাঁজ পড়ে। এতে সহজে ঠোঁট ফাটবে না।
৩. গ্লাইকোলিক অ্যাসিড ব্যবহারঃ প্রথমে মুখ ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার শুকনো তোয়ালে দিয়ে ভালো করে মুছে নিন শুকনো করে। এবার গ্লাইকোলিক অ্যাসিড ব্য করুন। গ্লাইকোলিক অ্যাসিড পুরনো কোষ তুলে দেয়। এর সঙ্গেই ফাটা জায়গা নতুন করে ভরে দেয়। ঠোঁটে সরাসরি অবশ্যই দেবেন না এই অ্যাসিড। এতে ঠোঁট জ্বালা করতে পারে।
আরো পড়ুনঃ বাদামের সুস্বাদু এবং মজাদার ক্ষীর
৪. ময়েশ্চারাইজার লাগানঃ একটি ভালো ময়েশ্চারাইজার কিন্তু ঠোঁট ফাটার সমস্যা অনেক কম করতে পারে। ওপরের ঠোঁটে ময়েশ্চারাইজার লাগান। খানিক হাল্কা হাতে ম্যাসাজ করে নিন। দুটো ঠোঁট একসঙ্গে এনে দুই ঠোঁটেজ এই ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। এতে নতুন করে ঠোঁট ফেটে যাওয়াও বন্ধ হবে।