জাপানি নারীদের বয়স ধরে রাখার ৮ টি গোপন বিষয় জানুন
- কবিতা আক্তার
- মে ৫, ২০২১
জাপানি নারীদের সৌন্দর্য রক্ষায় ত্বকের যত্নের নিয়ম কানুন একেবারে আলাদা। তারা ত্বক ও ত্বকের লাবণ্য বাড়াতে বিশ্বজুড়ে তারিফ পেয়ে থাকেন। ৫০ বছর বয়সের কোনো জাপানি মহিলাকে দেখলে মনে হয় ৩০ বছর। ত্বকের সৌন্দর্য বয়সকে কোন সীমাতে বেঁধে দেয় না তাদের। জাপানি মহিলাদের এরকম অপূর্ব সুন্দর রুপের রহস্যের কারণ চলুন জেনে নেওয়া যাক।
১. অতিরিক্ত বিউটি প্রোডাক্টস ব্যবহার না করা: জাপানি মহিলাদের মধ্যে একটি বিষয়ের চলন আছে যে তারা আচমকা বাজারচলতি নতুন কোন কসমেটিক প্রোডাক্ট ত্বকের জন্য ব্যবহার করেন না। কোন কসমেটিক ব্যবহার করার আগে ভালো করে তার সম্পর্কে জেনে ব্যবহার করেন। বলা ভালো প্রথমে ট্রায়াল' নিয়ে নেন প্রোডাক্টটের। ত্বকের জন্য ঠিক কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর তারা প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন। বেশিরভাগ জাপানি মহিলারা তাদের দিন মেকআপ দিয়ে শুরু করে না। তারা সাধারণত সব সময়ই নিজেদের ত্বকের যত্ন নেন প্রাকৃতিক ভাবে। ত্বক সব সময় পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করেন।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় ব্যায়ামের উপকারিতা এবং স্বাভাবিক প্রসবের সম্ভাবনা !
২. আজুকি: জাপানি স্কিন কেয়ার এর এক অন্যতম প্রডাক্ট হলো আজুকি। আজুকি এক ধরনের সিমজাতীয় বিচ। এর পাউডার ও স্ক্রাব ত্বকের ময়লা ভালোভাবে পরিষ্কার করে ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখে। ত্বকের ভিতরে জমা ধুলো-ময়লাকে বের করে ত্বককে সতেজ রাখে। আজুকি স্ক্রাব অনলাইনে কিনতে পাওয়া যায়। আমাজনে আপনারা পেয়ে যাবেন।
৩. গ্রিন টি: শুধুমাত্র ত্বকের চর্চা নয় নিয়মিত জাপানি মহিলারা গ্রিন টি পান করে থাকেন। গ্রীন টি তে প্রচুর পরিমাণ ভেষজ গুণ থাকে যা শরীরের জন্য বিশেষ করে ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। গ্রিন টি তে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা শরীরকে অতিবেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষিত করে। যা বলি রেখা বা সানবার্ন থেকে তাকে হেফাযত করে।
৪. সানস্ক্রিন ক্রিম অপেক্ষা ছাতা বা টুপির ব্যবহার: জাপানি মহিলারা সানস্ক্রিন অপেক্ষা ছাতা ও টুপি বেশি ব্যবহার করেন। ঐতিহ্যগত ভাবেই জাপানি মহিলারা রোদ থেকে বাঁচতে ছাতা ও টুপি ব্যবহার করেন। তবে রোদ না থাকলেও তারা যতটা সম্ভব ছাতা ও টুপির ব্যবহার করেন। তাই আর তাদের সানস্ক্রিন ক্রিম প্রয়োজন পড়ে না। ফলে ত্বক প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর থাকে। কসমেটিকস এর থেকে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়। তাদের ঐতিহ্যবাহী ছাতা ও টুপি গুলো তাদের মতো দেখতে সুন্দর।
আরো পড়ুনঃ পনির সমুচা
৫. সৌন্দর্যের জন্য প্রাকৃতিক তেল: ত্বকের যত্নে তারা প্রাকৃতিক তেল এর উপরে বেশি নির্ভরশীল। নিজের ঘরেই তৈরি করেন এসব তেল। তাই জাপানের বাজারে আমাদের দেশের মতো আজেবাজে তেলের ছড়াছড়ি নেই। প্রাকৃতিক তেল ত্বকে জমা ময়লা ভিতর থেকে পরিষ্কার করে। পাশাপাশি এই তেল ত্বককে করে মসৃণ ও উজ্জ্বল।
৬. ত্বকের ম্যাসাজ: জাপানি মহিলারা জানেন ত্বকের যত্ন নিতে বিশেষ করে মুখ মন্ডলে ম্যাসাজ করা খুবই জরুরী। ফলে চেহারায় সহজে বয়সের ছাপ বা বলিরেখা পড়ে না। কখনো কখনো অন্যকে দিয়ে ম্যাসাজ করালেও সব সময় তারা এটি নিজেরা করার চেষ্টা করেন।
৭. কোলাজেন: ত্বকের যত্ন নেওয়ার সাথে সাথে জাপানি মহিলারা সাপ্লিমেন্টারি ডায়েট কোলাজেন নেন। অনেক বৈজ্ঞানিক এর মতে যে কোলাজেনের ব্যবহার প্রোটিন পাউডার খাবার সমান। আলাদা কিছু না। কিন্তু জাপানিদের ওপর আমার দৃঢ়বিশ্বাস যে তারা ত্বকের যত্নের বিশেষ খেয়াল রাখার জন্য এটা গ্রহণ করে। কারণ জাপানি স্কিন কেয়ার বিশ্বের বেস্ট স্কিন কেয়ার।
আরো পড়ুনঃ ক্লিন ইটিং ডায়েট, আপনার ওজন কমাবে সাথে উপকারও করবে
৮. হেলদি খাবার: পশ্চিমা দুনিয়া যেদিকে লাল মাংস আর তৈলাক্ত খাবারের উপর নির্ভর করে সেদিকে জাপানিরা তাদের ঐতিহ্যবাহী স্বাস্থ্যকর খাবার বেশি পছন্দ করে। তারা যুগের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে আমাদের মত ফাস্টফুড কালচারকে রপ্ত করেনি। ফলে তাদের ত্বক সব সময় থাকে সতেজ ও উজ্জল।