মিষ্টি কুমড়ার চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- জুলাই ২৯, ২০২১
মিষ্টিকুমড়ায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে। এর ফল কাঁচা পাকা উভয় অবস্থায় খাওয়া যায়। তবে এর প্রধান ব্যবহার পাকা অবস্থায়। কুমড়ার পাতা ও কচি ডগা খাওয়া যায়। মিষ্টি কুমড়া সচরাচর বৈশাখী বর্ষাতি ও মাঘী এই তিন শ্রেণীতে বিভক্ত।
মিষ্টি কুমড়া চাষের সময়: বৈশাখী কুমড়ার বীজ মাঘ মাস, বর্ষাতি কুমড়ার বীজ বৈশাখ এবং মাঘী কুমড়ার বীজ শ্রাবণ মাসে বপন করতে হয়।
আরো পড়ুনঃ সাদা স্রাব নিয়ে দুঃশ্চিন্তা !
মাদা তৈরি ও সার প্রয়োগ: মাদার জন্য সাধারণত ৩-৪ মিটার দূরত্বে ৮০-১০০ ঘন সেন্টিমিটার আকারে গর্ত তৈরি করতে হবে। প্রতি গর্তে গোবর বা কম্পোস্ট ৫ কেজি, ইউরিয়া ১৩০ গ্রাম, টিএসপি ২০০ গ্রাম, এমপি ১৫০ গ্রাম, জিপসাম ৯০ গ্রাম, ও দসত্মা সার ৫ গ্রাম দিতে হবে।
ইউরিয়া ছাড়া অন্যান্য সার বীজ বোনার ৮-১০ দিন আগে গর্তের মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে।যা ইউরিয়া দু'ভাগে বীজ বোনার ১০ দিন পর প্রথমবার ও ৩৫ দিন পর দ্বিতীয়বার উপরে প্রয়োগ করতে হবে। মাদার চারপাশে অগভীর একটি নালা কেটে সার নালার মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে।
বীজ বপন: মাদার তৈরি হতে ১০-১২ দিন পর প্রতি মাদায় ২-৩টি বীজ মাথার মাঝখানে রোপণ করতে হবে।
পরিচর্যা: আগাছা থাকলে তা পরিষ্কার করে চারা গাছের গোড়ায় কিছুটা মাটি তুলে দিতে হবে। মাঝে মাঝে নিড়ানি দিয়ে গাছের গোড়ার মাটি আলগা করে দিতে হবে। ঘোড়ার কাছাকাছি কিছু খড় ১৫-২০ দিন পর বিছিয়ে দিতে হবে। ফল ধরা শুরু করলে ফলের নিচে ও খড় বিছিয়ে দিতে হবে। বৈশাখী কুমড়া মাটিতে হয়, অন্যান্য কুমড়ার জন্য মাচার ব্যবস্থা করতে হবে। গাছের লতাপাতা বেশি হলে কিছু লতাপাতা ছেঁটে দিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ পিরিয়ডের সময় তলপেটে ব্যথার কারণ এবং প্রতিকার !
ফসল সংগ্রহ ও ফলন: মিষ্টি কুমড়া কচি অবস্থা থেকে শুরু করে পরিপূর্ণ পাকা অবস্থায় খাওয়া যায়। তাই কচি অবস্থা থেকেই ফসল সংগ্রহ শুরু হয়। কুমড়া বেশ পাকিয়ে সংগ্রহ করলে অনেক দিন ঘরে রাখা যায়। শতক প্রতিফলন ৮০-১০০ কেজি হতে পারে।