চুলের যত্নে আমলকির ব্যবহার
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১
আমলকি আমাদের পরিচিত একটি ফল। এটি দামে যেমন সস্তা ও সহজলভ্য, তেমনি এর রয়েছে নানাবিধ উপকারিতা। আমলকি চুলের জন্য সবচেয়ে পুষ্টিকর একটি উপাদান। আমলকি কাঁচা, চূর্ণ বা তেল হিসাবেও ব্যবহার করা যায়। এটি একটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে চুল সুন্দর ও মজবুত করে।
আমলকি চুলে টনিক হিসেবে কাজ করে এবং চুলের পরিচর্যা ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এতে ভিটামিন মিনারেল এবং খনিজ উপাদান রয়েছে। এটি কেবল চুলের গোড়া মজবুত করে তা নয়, এটি চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ জলপাই দিয়ে টক-ঝাল আচার তৈরির রেসিপি
চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা সমাধানে ব্যবহার করুন আমলকীর তেল। চুলের আগা ফেটে যাওয়া, পেকে যাওয়া রুখতে আমলকি ভীষণ কার্যকরী। এছাড়া আমলকিতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুনাগুণ থাকে যা চুলে খুশকি উকুন এর মত একাধিক সমস্যার প্রতিরোধ করে। দুই ভাগ করে আমলকি কেটে নিয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। শুকিয়ে যাওয়া আমলকি গুলো ভালোভাবে গুঁড়ো করে তেলের সঙ্গে মেশান। এবার আমলকি তেলকে বেশ কিছুক্ষণ ধরে গরম করুন মাসে দুবার ব্যবহার করুন।
চুলের পুষ্টি এবং চুলকে শক্তিশালী করতে আমলকির বিকল্প কিছু নেই। আমলকি চুলের কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। যার ফলে শুরু হয়ে ওঠে চকচকে আর আকর্ষণীয়। আমলকি ব্যবহারের ফলে চুলের খুশকি দূর হয়ে যায়। এতে থাকা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ডান্ড্রিয়াম আক্রমণে বাধা দেয় ও পাকা চুল প্রতিরোধ করে।
মাথার ত্বক পরিষ্কার করার জন্য আমলা রস খুব চমৎকার। এটি মাথার খুলি এবং চুল চকচকে করে তোলে। আয়ুর্বেদ মতে অতিরিক্ত চুল পড়া রোধ করতে আমলকির ভূমিকা অপরিসীম।
আমলকির রস ত্বকে এবং চুল উভয়ের জন্য একটি উপকারী টনিক হিসেবে কাজ করে। এটি চুলকে শক্তিশালী করে তোলে। আমলকি শরীরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবেও ভালো কাজ করে।
আরো পড়ুনঃ স্বাস্থ্যগুণে সমৃদ্ধ কামরাঙ্গার আচার
নিয়মিত আমলকি ব্যবহারে চুল প্রাকৃতিকভাবেই অনেক সুন্দর এবং শাইনি হয়ে ওঠে। আমলকির পুষ্টি এবং অন্যান্য উপকারী উপাদান এর কারণে নিয়মিত আমলকির রস পান করলে আপনার চুল ঘন হয়ে ওঠে।
আমলকি চুলের শুষ্কতা প্রতিরোধ করে এবং আর্দ্রতা পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করে। এটি মৃত কোষগুলি সরিয়ে দেয়। আমরা সাধারণত মেহেদির সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করা হয় যার ফলে চুলের রঙ প্রাকৃতিক ভাবে আরো উজ্জ্বল দেখায়।
শুকনো আমলকির গুঁড়া সামান্য কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে ১ ঘন্টা রেখে দিয়ে তারপর সেই মিশ্রণটি পুরো চুলে ম্যাসাজ করে লাগিয়ে আধা থেকে ১ ঘণ্টা রাখতে হবে। তারপর ধুয়ে ফেলুন। এর ফলে দ্রুত চুলের বৃদ্ধির হবে আদ্রতা বজায় থাকবে চুল হবে মসৃণ এবং উজ্জ্বল।