কোহলি ছুটি পান, গাভাস্কার তো ছেলের মুখ এখনো দেখেন নি
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
- নভেম্বর ২২, ২০২০
ভারতীয় ক্রিকেট দল যখন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে স্বাগতিকদের সঙ্গে টেস্ট সিরিজে লড়বে, ঠিক তখনই বাবা হওয়ার আনন্দে ভাসবেন বিরাট কোহলি। জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লগ্নে ভারত অধিনায়ক স্ত্রী আনুশকা শর্মার পাশে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রথম টেস্টের পরপরই তিনি ফিরে যাবেন দেশে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) অধিনায়কের ছুটি মঞ্জুরও করেছে।
কোহলির এই ‘পিতৃত্বকালীন ছুটি’ নিয়ে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সন্তানের জন্মের মুহূর্তে স্ত্রীর পাশে থাকাটা জরুরি, নাকি গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেট সিরিজে দেশকে নেতৃত্বে দেওয়া জরুরি—এ নিয়ে চলছে নানামুখী বিতর্ক। অনেকেই কোহলির দেশে ফিরে আসার বিরোধিতা করছেন। কেউ কেউ আবার মনে করছেন, প্রথম সন্তান জন্মের মুহূর্তে কোহলি ছুটি নিয়ে ঠিকই করেছেন। এই বিতর্কে যোগ দিয়েছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক কপিল দেবও। কোহলির ফেরাটা যে তিনি পছন্দ করছেন না, সেটি সরাসরি না বললেও তাঁর কথায় বেশ খানিকটা শ্লেষ ছিল।
নিজেদের সময়ের প্রসঙ্গ টেনেছেন কপিল দেব। বলেছেন, ‘আমরা আমাদের সময় মনে হয় না সফরের মাঝপথে ফিরে আসার বিলাসিতা দেখাতে পারতাম। তখন ব্যাপার অন্যরকম ছিল। তবে এখন পরিস্থিতি বদলেছে।’ ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় অধিনায়কের কণ্ঠে কোহলির দেশে ফেরা নিয়ে স্পষ্টতই বিরক্তি।
কপিল যে সন্তানের জন্মলগ্নে কোহলির দেশে ফেরাটা পছন্দ করছেন না, সেটি বোঝা যায় তাঁর একটি কথায়। নিজের সতীর্থ সুনীল গাভাস্কারের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেছেন, ‘গাভাস্কার তো ছেলের মুখই দেখেনি মাসের পর মাস। তখন পরিস্থিতি সত্যিই অন্যরকম ছিল, এখন দিন বদলে গেছে।’
কোহলি তাঁর বাবার মৃত্যুর সময় মাঠে ছিলেন। সেই ইতিহাস বহুল–চর্চিত। সেই প্রসঙ্গে ভারত অধিনায়কের মানসিক দৃঢ়তার প্রশংসা করা হয়। ভারতীয় ক্রিকেটে আবেগী গল্পগুলোর একটিই ধরা হয় সেটিকে। কপিলের দৃষ্টিতে এটি দিন বদলে যাওয়ার উদাহরণও, ‘কোহলি নিজেও তো তাঁর বাবার মৃত্যুর পরদিন মাঠে নেমেছিল খেলতে। আজ সে বাবা হওয়া উপলক্ষে ছুটি নিচ্ছে। দিন আসলেই বদলে গেছে।’
তবে ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার কোহলিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তাঁর আসন্ন পিতৃত্বের জন্য, ‘এখন উড়োজাহাজে চেপে তিন দিনের মধ্যে আসা–যাওয়া করা যায়। সবকিছু সহজ হয়ে গেছে। তবে আমি বিরাটের জন্য খুশি। ওকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। সন্তানের জন্মমুহূর্ত সে উপভোগ করুক। পিতৃত্বের চেয়ে বড় আনন্দ আর কী হতে পারে!’