মসজিদে ইফতার-সেহরির আয়োজন করা যাবে না
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- এপ্রিল ৫, ২০২১
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে আসন্ন রমজানে মসজিদে ইফতার ও সেহেরির আয়োজন করা যাবে না। সোমবার (৫ এপ্রিল) এমন নির্দেশনা দিয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জরুরী বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে মসজিদে জামাতে নামাজের জন্য আবশ্যিকভাবে পালনের জন্য মোট দশটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব জনিত কারণে সারাদেশে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুহার অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ২৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ১৮দফা এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ৪এপ্রিল বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কতিপয় দিক নির্দেশনা দেয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই দশটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। নির্দেশনাগুলো হলো...
আরো পড়ুনঃ ৩০-এরপরে বাচ্চা নিলে আপনি যে যে সমস্যাগুলোর মুখোমুখী হবেন!
১. মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার ব্যবস্থা সহ সাবান পানি রাখতে হবে এবং আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।
২. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে, সুন্নত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওযু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
৩. মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবানুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে, মুসল্লিদের নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে।
৪. কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
৫. শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামায়াতে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবেন।
৬. সংক্রমণ রোগ নিশ্চিতে মসজিদের ওজুখানা সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদের সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
আরো পড়ুনঃ কাঁচা ছোলা খাওয়ার পর যে দু`টো জিনিস কখনোই খাবেন না!
৭. সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিত, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।
৮. মসজিদে ইফতার ও সেহরীর আয়োজন করা যাবে না।
৯. করোনাভাইরাস মহামারী থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে খতিব ও ইমামরা দোয়া করবেন।
১০. সম্মানিত খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটির বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন।
এই নির্দেশনা লংঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনকারী বাহিনীর সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল দের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।