টবে ত্বীন ফল বা ডুমুর চাষ পদ্ধতি
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২২
ডুমুর একটি অতি উপাদেয় ফল। বাংদেশের আনাচে কানাচে যে ডুমুর দেখা যায়, তা পাখিরা খেয়ে থাকে। কোথাও কোথাও এটি তরকারি হিসেবে সীমিত ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ডুমুর মূলত মধ্যপ্রাচ্যের ফল। যদিও বর্তমানে এর প্রসার ঘটেছে। বিশ্বজুড়ে এখন চাষ হচ্ছে এ ফল। বিশেষ করে বাড়ির ছাদে টবে চাষ করা হয় এটি আসুন জেনে নেই চাষ পদ্ধতি-
চাষ পদ্ধতি: ছাদে মিষ্টি ডুমুরের চারা লাগানোর জন্য ১২-২০ ইঞ্চি মাটির টব বা কালার ড্রাম সংগ্রহ করতে হবে। ড্রামের তলায় ৩-৫ ছিদ্র করে নিতে হবে। যাতে গাছের গোড়ায় পানি জমে না থাকে। টব বা ড্রামের তলার ছিদ্রগুলো ইটের ছোট ছোট টুকরা দিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে। টব বা ড্রামের গাছটিকে ছাদের এমন জায়গায় রাখতে হবে যেখানে সব সময় রোদ থাকে।
আরো পড়ুনঃ বাচ্চাদের বকাঝকা না করে হোম ওয়ার্ক করতে উৎসাহিত করার উপায় জানুন
এবার ২ ভাগ বেলে দোআঁশ মাটি, ১ ভাগ গোবর, ২০-৪০গ্রাম টি এস পি সার, ২০-৪০ গ্রাম পটাশ সার এবং ২০০ গ্রাম হাড়ের গুড়া একত্রে মিশিয়ে ড্রাম বা টবে পানি দিয়ে রেখে দিতে হবে ১০-১৫ দিন। এরপর মাটি কিছুটা খুঁচিয়ে দিয়ে আবার ৪-৫ দিনে একইভাবে রেখে দিতে হবে। মাটি যখন ঝুরঝুরা হবে তখন একটি সফল সুস্থ মিশরীয় ডুমুর এর কাটিং ছাড়া টব বা ড্রামে রোপণ করতে হবে। চারাগাছটি কে সোজা করে লাগাতে হবে।
সেই সাথে গাছের গোড়ায় মাটি কিছুটা উঁচু করে দিতে হবে এবং মাটি হাত দিয়ে চেপে চেপে দিতে হবে। যাতে গাছের গোড়া দিয়ে বেশি পানি না ঢুকতে পারে। একটি সোজা কাঠি দিয়ে গাছটিকে বেঁধে দিতে হবে। চারা গাছ লাগানোর পর প্রথম দিকে পানি কম দিতে হবে। আস্তে আস্তে পানি বাড়াতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন গাছের গোড়ায় পানি জমে না থাকে আবার বেশি শুকিয়েও না যায়।
পরিচর্যা: ডুমুরের কাটিং চারা লাগানোর ৪-৫ মাস পর থেকেই ফল দিতে শুরু করে। তাই গাছ লাগানোর ২-৩ মাস পর থেকেই টবের গাছ কে নিয়মিত অল্প অল্প খাবার দেওয়া প্রয়োজন। সে অনুযায়ী ১০-১৫ দিন পরপর সরিষার খৈল পচা পানি প্রয়োগ করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ প্রতিদিন গরম পানি খেলে যে উপকার পাবেন
ব্যবহার: ডুমুর ফলের উপরের আবরণ খুব পাতলা ও নরম। খেতে খুবই সুস্বাদু ও মিষ্টি। পাকা ফল আবরণ সহ সরাসরি খাওয়া যায়। তাছাড়াও পাকা ডুমুর দিয়ে জ্যাম, জেলি, চাটনি ইত্যাদি তৈরি করে খাওয়া যায়। পাকা ডুমর শুকিয়ে বিভিন্ন রকমের খাবার উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা যায়। কাঁচা ডুমুর তরকারি হিসেবে খাওয়া যায়। কার্বোহাইড্রেট, সুগার, প্রোটিন, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, ক্যালসিয়াম আয়রন ছাড়াও বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ডুমুর। পুষ্টিগুণের পাশাপাশি ডুমুরের অনেক ঔষধিগুণও রয়েছে।
বংশবিস্তার: ডুমুরের বংশবিস্তারের অনেক পদ্ধতি থাকলেও সবচেয়ে সহজ ও ভাল পদ্ধতি হলো কাটিং। কাটিং পদ্ধতিতে বংশ বিস্তার এর শতকরা প্রায় ৯৮% চারাই টিকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কাটিং এর এক মাসের মধ্যেই তারা মূল টবে লাগানোর উপযুক্ত সময়। তবে কাটিং লাগানোর ৪-৫ মাসের মধ্যেই ডুমুর ফল পাওয়া যায়।