বরবটি চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- জুলাই ২৩, ২০২১
বরবটি সাধারণত খরিফ মরসুমে ভাল হয়। কিন্তু দিবস নিরপেক্ষ জাত বছরের যে কোনও সময় চাষ করা যায় এবং এই সবজির বছরভর চাহিদা থাকে। এই চাষ করলে মাটির উর্বরতা ও বাড়ে। খরিফ মরসুমের ( মার্চ-সেপ্টেম্বর ) চাষটা একটু আগে করলে বাজারে ভালো দাম পাওয়া যায়। খরিফ ও প্রাক খরিফ চাষ করার জন্য পুসা ফাল্গুনী, পসা দোফসলী, সুংসাং বর্ষাতি, অর্ক গরিমা ভালো জাত।
আরো পড়ুনঃ আপনার চুলের খুশকি দূর করুন এখনই
জমি ও মাটি: প্রায় সব ধরনের মাটিতে বরবটি চাষ হলেও দোআঁশ মাটি ভালো। সামান্য অম্ল মাটিতে চাষ হলেও ক্ষার মাটিতে ভালো বাড়ে না। মাটিতে উপযুক্ত পরিমাণে জৈব সার এবং পাতা পচা সার ব্যবহার করা দরকার। পানি নিকাশি নালার তৈরি করতে হবে যাতে গাছের গোড়ায় পানি না জমে।
জমি তৈরি: বীজ বোনার আগে জমিতে ৩-৪টি চাষ দিয়ে এবং মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে ও মোলায়েম করে নিতে হবে। তারপর নির্দিষ্ট দূরত্বে গর্ত করতে হবে। প্রতিটি গর্তে ৩-৪ কেজি পচা ঝুরঝুরে গোবর সার, ৭৫ গ্রাম এসএসপি, ১০০ গ্রাম নিমখোল দিয়ে ভালো ভাবে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে।
বীজ বোনা: পশু খাদ্য বা সবুজ স্যারের জন্য বরবটি চাষ করলে বীজ হাতে ছিটিয়ে বোনা যায়। তবে সবজি হিসেবে চাষ করলে সারিতে বুনতে হবে। সারি থেকে সারির দূরত্ব ১.৫ মিটার। গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ১.৫ ফুট।
আরো পড়ুনঃ আপনার ওজন বাড়াবে প্রতিদিনের যে খাদ্য তালিকা !
বোনার আগে বীজগুলো ভালো ভাবে শোধন করে নিতে হবে। এর জন্য কার্বেন্ডাজিম ৫০% ডব্লুপি এক গ্রাম প্রতি লিটার পানি খুলে তাতে বীজগুলো আধ-এক ঘন্টা ডুবিয়ে রেখে জমিতে বুনতে হবে। তারপর প্রয়োজনমতো পানি সেচ দিতে হবে।
সার প্রয়োগ: এই জাতীয় ফসলের নাইট্রোজেন ঘটিত সার কম প্রয়োগ করা হয়। কারণ এরা পরিবেশের নাইট্রোজেন মাটিতে আবদ্ধ করে। যারা উচ্চতা ১৫-২০ সেমি হলে মাচা দিতে হবে। এরপর চাপান সার হিসেবে বিঘা প্রতি ৫ কেজি ডিএপি এবং পটাশ ৬ কেজি ভালো করে মিশিয়ে গাছের গোড়ায় রিং টেনে প্রয়োগ করতে হবে।
যদি অনু খাদ্যের অভাব হয়, তাহলে প্রয়োজনমতো অনুখাদ্যের মিশ্রণ ২ গ্রাম প্রতি লিটার হিসেবে পানি গুলে পাতায় স্প্রে করতে হবে। প্রয়োজনমতো পানি সেচ দেওয়ার পাশাপাশি লক্ষ্য রাখতে হবে গাছের গোড়ায় যেন পানি না জমে। গাছের চারপাশে আগাছামুক্ত রাখতে হবে।
আরো পড়ুনঃ আপনার ওজন কমছে, কিন্ত পেট বা কোমরের পরিধির পরিমাপ ঠিক আছে তো ?
ফসল তোলা: বীজ বোনার দু মাস পরে ফসল আসে। কচি অবস্থাতে বরবটি তোলা যায়। কারণ বেশি পুষ্ট হলে সবজি হিসেবে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে যায়। আর বীজের জন্য শুঁটি সম্পূর্ণ পেকে গেলে সংগ্রহ করতে হবে। তবে শুঁটি একসঙ্গে পাকে না। কয়েক বারে সংগ্রহ করতে হবে।