
বাঁধাকপি পরিচিতি, জাত, লাগানোর সময়, পুষ্টি, মাটি, বীজ সম্পর্কে বিস্তারিত
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- জুলাই ২৫, ২০২১
বাঁধাকপি (Cabbage) রবি মৌসুমের একটি পুষ্টিকর সবজি যার বৈজ্ঞানিক নাম Brassica oleracea car capitata। দেশের প্রায় সব অঞ্চলে বাঁধাকপি চাষ হয়ে থাকে। এ দেশে উৎপাদিত বাঁধাকপির প্রায় সব জাতই বিদেশি ও হাইব্রিড। এদেশে সব জাতের বীজ উৎপাদন করা যায় না। তবে এদেশের বীজ উৎপাদন করা যায় বারি উদ্ভাবিত এমন জাতও আছে।
পুষ্টি: বাঁধাকপিতে অন্যতম পুষ্টিকর পাতা জাতীয় সবজি। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।
মাটি: অত্যধিক বেলে মাটি ছাড়া প্রায় সব ধরনের মাটিতে বাঁধাকপি জন্মে। তবে বেলে-দোআঁশ থেকে পলি দোআঁশ মাটি এ ফসলের জন্য উপযোগী।
আরো পড়ুনঃ শিশুদের প্রতিদিন ডিম খাওয়া কেন দরকার?
জাত: কে কে ক্রস এবং এক্সপ্রেস ক্রস জাত দুটি বাঁধাকপির আগামজাত। মধ্যম সময়ের উপযোগী জাত হলো কে ওয়াই ক্রয়, এটলাস ৭০, টোকিও প্রাইড, গ্রীন এক্সপ্রেস, প্রভাতী ইত্যাদি। এটলাস ৭০, লিও ৮০, সেভয়, রুবি বল, ড্রাম হেড ইত্যাদি হলো নাবী জাত। এ দেশের আবহাওয়ার বীজ উৎপাদন করতে চাইলে করতে হবে বারি বাঁধাকপি-১ (প্রভাতী), বারি বাঁধাকপি-২ (অগ্রদূত), ইপসা বাঁধাকপি ১।
সম্প্রতি আমদানীকৃত হাইব্রিড জাতসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সামার ওয়ারিয়র এফ ১, লরেন্স এফ ১, গ্রীন ৬১২ এফ ১, সামার স্টার এফ ১, গ্রীন কর্নেট এফ ১, অটাম কুইন এফ১, সুপার ট্রপিক এফ ১, সামার বয় এফ ১, সুপ্রিম কুইন এফ ১, ট্রপিক্যাল কুইন (সারা বছর চাষ করা যাবে), সামার এলিট এফ-১ ইত্যাদি।
লাগানোর সময়: বাঁধাকপি শীতকালে ভালো হয়ে থাকে। শীত মৌসুমে আগাম ও নাবী করেও চাষ করা যায়। তবে সম্প্রতি গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালেও বাঁধাকপি উৎপাদিত হচ্ছে। মৌসুমভেদে বাঁধাকপির বীজ বপনের সময় নিচে দেওয়া হলো...
সময়: বীজ বপনের সময় চারা রোপনের সময় আগাম শ্রাবণ-ভাদ্র-আশ্বিন মধ্যম আশ্বিন, কার্তিক-অগ্রহায়ণ নাবি অগ্রহায়ণ, মধ্য পৌষ, পৌষ-মধ্য মাঘ।
আরো পড়ুনঃ পেটের মেদ কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী যেসব পানীয়
বীজের পরিমাণ: জাত ভেদে শতক প্রতি ২-৩ গ্রাম এবং হেক্টর প্রতি ৫০০-৭০০ গ্রাম বীজের প্রয়োজন হয়ে থাকে।