মিষ্টি কুমড়া পরিচিতি, জাত, মাটি, চারা, চাষের মৌসুম সম্পর্কে বিস্তারিত
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- জুলাই ২৯, ২০২১
মিষ্টি কুমড়া বর্ষজীবী লতানো উদ্ভিদ ভিটামিন এ সমৃদ্ধ উৎকৃষ্ট সবজি। কচি মিষ্টি কুমড়া সবজি হিসেবে এবং পাকা ফল দীর্ঘদিন রেখে সবজি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। মিষ্টি কুমড়ার পাতা ও কচি ডগা শাক হিসেবে বেশ সুস্বাদু। পরিপক্ক ফল শুষ্ক ঘরের সাধারণ তাপমাত্রায় প্রায় ৪-৫ মাস সংরক্ষণ করা যায়। মিষ্টি কুমড়া ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
আরো পড়ুনঃ আপনার পছন্দের যে খাবারগুলো ওজন বাড়ায় !
মিষ্টি কুমড়ার জাত: বারি মিষ্টি কুমড়া-১, বারি মিষ্টি কুমড়া-২, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত ২টি উন্নত জাত। বারি মিষ্টি কুমড়া-১, জাতটি ভাইরাস সহনশীল। হাইব্রিড জাত গুলোর মধ্যে সুইট স্পট, সুইট বেবি, সুইট বয়, সুইট ডায়মন্ড, সুপার সুইট-১, সুপার সুইট-২, রেশমি-১, রেশমি-২, মায়াF1, সুপ্রিয়া ইত্যাদি।
মাটির বৈশিষ্ট্য: সুনিষ্কাশিত জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ দোআঁশ বা এটেল দোআঁশ মাটি মিষ্টি কুমড়া চাষ আবাদের জন্য উত্তম। মিষ্টি কুমড়ার জন্য মাটি ও সর্বোত্তম অম্লতা ৫.৫-৬.৮।
চাষের মৌসুম: বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বছরের যেকোনো সময় মিষ্টি কুমড়ার বীজ বোনা যায়। শীতকালীন ফসলের জন্য অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর এবং গৃষ্ম কালীন ফসলের জন্য ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত বীজ বোনার উপযুক্ত সময়। তবে বীজ উৎপাদনের জন্য নভেম্বর মধ্যভাগে বীজ বপন করা উত্তম।
বীজের হার: মিষ্টি কুমড়া চাষের জন্য বিঘা প্রতি ৬৫০-৮০০ গ্রাম এবং হেক্টর প্রতি ৫-৬ কেজি পরিমাণ বীজের প্রয়োজন হয়।
চারা উৎপাদন: নার্সারিতে পলিব্যাগে চারা তৈরি করে রোপন করা উত্তম। পলিব্যাগে চারা উৎপাদনের ক্ষেত্রে (৩ ইঞ্চি/৪ ইঞ্চি) অথবা (৮ সে.মি/১০ সে. মি.) আকারের পলি ব্যাগ ব্যবহার করা হয়। অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের জন্য ছিদ্রযুক্ত পলি ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে। বীজ বপনের আগে ১৫-২০ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখলে বীজের অঙ্কুরোদগম সহজ ও দ্রুত হবে। প্রতিব্যাগে বীজ বুনতে হবে। বীজের আকার এর দ্বিগুণ মাটির গভীরে বীজ পুঁতে দিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের তলপেটে ব্যথার কারণ এবং প্রতিকার
চারা রোপণ: বীজ গজানোর পর ১৫-১৬ দিন বয়সের চারা মাঠে লাগানোর জন্য উত্তম। পলিব্যাগের ভাঁজ বরাবর বেসন দিয়ে কেটে পলি ব্যাগ সরিয়ে মাটির দলা সহচার্যে নির্দিষ্ট জায়গায় লাগিয়ে চারপাশে মাটি দিয়ে ভরাট করে দিতে হবে। চারা লাগানোর পর গর্তে পানি দিতে হবে।
ফল ধারণ বৃদ্ধিতে কৃত্রিম পরাগায়ন: কৃত্রিম পরাগায়নের মাধ্যমে মিষ্টি কুমড়ার ফলন শতকরা ২৫-৩০ ভাগ বাড়ানো যায়। এর ফুল খুব সকালে ফোটে। এক্ষেত্রে কৃত্রিম পরাগায়ন সকাল ৯ টার মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।