বিটরুট চাষ পদ্ধতি বিস্তারিত
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- আগস্ট ১, ২০২১
আধুনিক ফসল চাষাবাদ বিটরুট পিছিয়ে নেই তাই আজকে আমরা আলোচনা করব বিটরুট চাষ পদ্ধতি বিস্তারিত নিয়ে...
বিটরুট চাষ পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করতে হলে সর্বপ্রথম আমাদের উচিত বিটরুটের পরিচিতি তুলে ধরা কারণে ফসল একটি আধুনিক কৌশল এবং আমাদের দেশে এর চাষাবাদ পদ্ধতি প্রায় নতুন বলা চলে।
আরো পড়ুনঃ চুল পড়া রোধ করবে আয়ুর্বেদিক তেল
সুগারবিট এর জাত পরিচিতি: সুগার বিট ( Beta valgaris L. ) একটি শীতপ্রধান দেশের ফসল।
বর্তমানে উদ্ভাবিত জাত দ্বারা : Tropical এবং Sub-tropical অঞ্চলেও সুগার বিট চাষ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর কৃষি তথ্য ও ফার্মিং সিস্টেম বিভাগ, সিনজেনটা বাংলাদেশ লি. এর মাধ্যমে সুগারবিটের সীমিতসংখ্যক জাত নিয়ে গবেষণা পরিচালনা করছে। বীজ বপনের সময় সুগার বিট শীতকালীন ফসল। বাংলাদেশের বীজ বপনের উত্তম সময় ১৫ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর (কার্তিক মাস)।
বীজ হার: এক বিঘা জমির জন্য ৪৭০-৫৩০ গ্রাম বিজ এর প্রয়োজন অথবা ১৩৩৩০ থেকে ১৬০০০ গাছ থাকবে।
বীজ বপন পদ্ধতি: প্রায় ২০ ইঞ্চি দূরে দূরে তৈরিকৃত রিজ/আইলের উপর ২০ সেমি. দূরে দূরে বীজ ২-৩ সেমি. নিচে বপন করতে হবে। কাঙ্খিত গাছের সংখ্যা পাওয়ার জন্য পাশাপাশি দুটি গর্ত করে প্রতিটি গর্তে ১টি করে বীজ বপন করতে হবে এবং পরবর্তী ২০-২৫ দিন পর প্রতি ২০ সেমি. দূরে একটি করে গাছ রেখে বাকি গাছ তুলে ফেলতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ত্বক ফর্সা ও সুন্দর করতে সাহায্য করবে যে ফেসপ্যাক
সার প্রয়োগ পদ্ধতি: জমি চাষ করার পূর্বে সম্পূর্ণ জৈব সার সমানভাবে জমিতে ছিটিয়ে দিতে হবে। রিজ করার পূর্বে সাড়িতে সম্পূর্ণ টিএসপি, জিপিসাম, দস্তা ও বোরন এবং এক তৃতীয়াংশ ইউরিয়া ও পটাশ সার প্রয়োগ করতে হবে। পরবর্তী বীজ বপনের ৩০ও ৬০ দিন পর বাকি ইউরিয়া ও পটাশিয়াম সাড়িতে উপরে প্রয়োগ করতে হবে।
সেচ প্রয়োগ: সুগারবিট উৎপাদনের জন্য মাটির আর্দ্রতা অবশ্যই ৬৫% এর উপরে রাখতে হবে। সুগারবিট এর সক্রিয় মূল প্রায় ২০০-২৫০ সেমি. পর্যন্ত মাটির গভীরে প্রবেশ করতে পারে তাই মাটির ৬০ সেমি. গভীর থেকে সে প্রায় ৭০% পানি গ্রহণ করে।
সুগারবিট এর জীবনকাল মাটির আর্দ্রতা ভেদে ৫-৬টি শেষ প্রয়োজন হয়। অঙ্কুরোদগম ভালোভাবে হওয়ার জন্য বীজ বপনের পর পরই এমন ভাবে একটি সেট দিতে হবে যাতে রিজ সম্পূর্ণভাবে ভিজে যায়। পরবর্তীতে ১৫-২০ দিন পূর্বে সেচ প্রয়োগ বন্ধ করতে হবে। বিট উত্তোলনের সময় মাটি খুব শুকনা ও শক্ত থাকলে সহজভাবে বিট উত্তোলনের জন্য হালকা সেচ প্রয়োগ করা যেতে পারে।
গোড়ায় মাটি দেয়া: সুগারবিট একটি মূল জাতীয় ফসল, তাই গোড়ায় মাটি দেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। দ্বিতীয় বার সার উপরি প্রয়োগ করার পর গাছের গোড়ায় মাটি দিতে এ। মাটি এমনভাবে দিতে হবে যাতে গাছের মাথায় মাটি না পড়ে।
আরো পড়ুনঃ অকালে চুল পাকা রোধের ৫ ঘরোয়া উপায়
বিট উত্তোলন ও ফলন: সুগার বিট ফসলটির ৫-৫.৫ মাসে উত্তোলনের উপযুক্ত হয়। এজন্য বয়স ৪ মাংস হওয়ার পর প্রতি ১০ দিন পর পর ব্রিক্সের পরিমাণ নির্ণয় করতে হবে। গাছের পাতা গুলো হলুদ হতে শুরু করলে এবং মূলে ব্রিক্সের পরিমাণ ১৮-২২% হলে বিট সংগ্রহ করতে হবে। মাঠ থেকে সাধারণ হাত দিয়ে বিট উত্তোলন করা হয়। সুগার বিটের বিঘা প্রতি ফলন ১০.৬৭- ১৩.৩৩টন হয়।