পটলের রোগ ও প্রতিকার

  • ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
  • আগস্ট ৭, ২০২১

পটল একটি প্রধান গ্রীষ্মকালীন সবজি। বাংলাদেশের সব জায়গাতেই পটলের চাষ হয় না। পটলের বিভিন্ন রোগ এবং প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত...

১. শিকড়ের গিট রোগ: পটলের শিকড়ে গিট রোগ মারাত্মক সমস্যা। এর আক্রমণে আক্রান্ত গাছের ছোট-বড় অনেক গিটের সৃষ্টি হয়। ফলে এদের মূল নষ্ট হয়ে খাবার নিতে পারেনা। গাছ দুর্বল হয়ে পড়ে। গাছ খাটো হয়ে পড়ে এবং ফলন মারাত্মক কমে যায়।

আরো পড়ুনঃ তেজপাতা ও চন্দনের ব্যবহারে পাবেন উজ্জ্বল ও সতেজ ত্বক

প্রতিকার: পরিচ্ছন্ন চাষাবাদ করা। সরিষা, মরিচ, গম, ভুট্টা ইত্যাদি দ্বারা ফসলচক্র করা। ভালোভাবে চাষ ও মই দিয়ে শুষ্ক মৌসুমে পতিত রাখা। পটল রোপনের ২০ থেকে ২৫ দিন আগে হেক্টরপ্রতি মুরগির বিষ্ঠা ৩ থেকে ৫ টন বা সরিষার খৈল ৪০০ থেকে ৫০০ কেজি মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে।

২. পাউডারি মিলডিউ: এ রোগে পাতার উপরে সাদা সাদা পাউডার দেখা যায় বা পাতা নষ্ট হয়ে যায়। পাতার উপরের দিকে ও কান্ডে পাউডারের মত ছত্রাকের জীবাণুর প্রলেপ পড়ে। এতে ক্রমান্বয়ে কচিপাতা আক্রান্ত হয়। আক্রমণের প্রথম স্তরে দাগগুলো সাদা থেকে ধীরে ধীরে হলুদ হয়ে সম্পূর্ণ পাতা শুকিয়ে যায়।

প্রতিকার: আক্রান্ত গাছের পরিত্যক্ত অংশ পুড়ে ফেলা‌। পরিমিত সার ও সেচ প্রয়োগ। থিয়োভিট (০.২%) বা টিল্ট (০.১%) রোগ দেখা মাত্র ১৫ দিন অন্তর অন্তর স্প্রে করতে হবে।

৩. কান্ডের রস ঝরা: এর ফলে শীতের সময় পটল গাছের কান্ড ফেটে যায় এবং এক ধরনের আঠালো পদার্থ নিঃসৃত হয়। এটা পরবর্তীকালে বাতাসের সংস্পর্শে এসে শক্ত হয়ে কান্ডের সাথে লেগে যায়।

আরো পড়ুনঃ ত্বক সুন্দর রাখতে খাবারের তালিকায় রাখুন কিছু বিউটি ফুডস

প্রতিকার: রিডোমিল গোল্ড ২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে আক্রমণের সময় এবং ১০ থেকে‌ ১৫ দিন পরপর তিনবার স্প্রে করা। বর্দোমিক্সার ব্যবহার করা।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment