গাজর চাষ পদ্ধতি

  • ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
  • আগস্ট ১২, ২০২১

শীতকালীন সবজিগুলো মধ্যে গাজর একটি অন্যতম সবজি। গাজর চাষ অনেকেই সাফল্য পেয়েছে, আপনিও পেতে পারেন। এটি মুখরোচক শীতকালীন সবজি। চলুন জেনে নেওয়া যাক যেভাবে গাজর চাষ করলে অধিক লাভবান হ‌ওয়া যাবে-

চাষ পদ্ধতি: পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা আছে এমন বেলে দোআঁশ ও দোআঁশ মাটি গাজর চাষের জন্য উপযোগী।

বীজ বপনের সময়: আশ্বিন থেকে কার্তিক মধ্য সেপ্টেম্বর মধ্য নভেম্বর মাস বীজ বপনের উত্তম সময়।

আরো পড়ুনঃ প্রাকৃতিক উপায়ে সমাধান মিলবে গ্যাস্ট্রিকের

বীজ হার: প্রতি হেক্টরে ৩-৪ কেজি লাগে। বীজ বপনের দূরত্ব: সারি- সারির‌ দূরত্ব ২০- ২৫ সেমি. গাছ-গাছের দূরত্ব ১০ সেমি.

জমি তৈরি:

১. গাজর চাষের জন্য ভালো ভাবে চাষ ও মই দিয়ে তৈরি করতে হবে।

২. জমির মাটি ঝুরঝুরে করে তৈরি করতে হবে।

৩. গাজরের বীজ সারিতে বপন করা ভালো। এতে গাজরের যত্ন নেয়া হয়।

৪. গাজরের বীজ খুব ছোট বিধায় ছাই বা গুঁড়া মাটির সাথে মিশিয়ে বপন করা যেতে পারে। এজন্য ভালো বীজের সাথে ভালো শুকনো ছাই বা গুঁড়া মাটি মিশিয়ে বপন করা যেতে পারে।

সার প্রয়োগ: গাজর চাষে হেক্টরপ্রতি নিম্নরুপ হারে সার প্রয়োগ করতে হবে।

সারের পরিমাণ (প্রতিহেক্টর):

১. গোবর/জৈব সার ১০ টন

২. ইউরিয়া ১৫০ কেজি

আরো পড়ুনঃ করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম কালোজিরা!

৩. টিএসপি ১২৫ কেজি

৪. এস‌ওপি/এমপি ২০০ কেজি

যত্ন: মাটিতে রস কম হলে পানি সেচ দিতে হবে। সেচের পর জো এলে নিড়ানি দিয়ে চটা ভেঙে মাটি আলগা করে দিতে হবে। আগাছা জন্মালে দমন করতে হবে।

পোকা দমন:

১. এ পোকা ও গাছের কচি অংশের রস শুষে খেয়ে গাছ নষ্ট করে।

২. পোকা দমনের জন্য ২.৫ মিলি সাইফানন বা সেমটঙ ৫৭ ইসি ১ লিটার পানির সাথে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

৩. রোল এল-৪০, ক্লসিক ২০ ইসি, টিডফেট ৭৫ এসপি, টিডো ২০ এস‌এল ইত্যাদি। কীটনাশকের যে কোন একটি অনুমোদিত মাত্রায় ব্যবহার করা যেতে পারে।

৪. বাইকা-১ প্রয়োগ করতে হবে।

ফসল সংগ্রহ: চারা গজানোর ৭০-৮০ দিন পর সবজি হিসেবে গাজর খাওয়ার জন্য তোলার উপযুক্ত হয়।

আরো পড়ুনঃ গর্ভকালীন রক্তশূন্যতা, জটিলতা ও করণীয় সম্পর্কে জানুন

ফলন: হেক্টরপ্রতি গাজরের ফলন ২০-২৫ টন।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment