আধুনিক পদ্ধতিতে মুলা চাষ পদ্ধতি
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- আগস্ট ১৪, ২০২১
মুলা একটি সুস্বাদু সবজি। মুলা অনেক বৈচিত্র্যময়, আকারে আলাদা, গন্ধ যুক্ত, বিভিন্ন রং এবং পরিপক্ক হওয়ার সময়ের বিভিন্নতা রয়েছে।
জমি ও মাটি: উঁচু, মাঝারি উঁচু ও মাঝারি নিচু জমিতে মুলা চাষ করা যায়। সুনিষ্কাশিত বেলে দোআঁশ মাটি মুলা চাষের জন্য উপযুক্ত। এটেল মাটি মুলার আকার বেশি বড় হতে দেয়না।
আরো পড়ুনঃ ফ্যালোপিয়ান টিউব ব্লকেজ কি বন্ধ্যাত্বের ঘটায়?
জাত: এক সময় জাপানের বিখ্যাত তাসাকি সান জাতের মুলার মাধ্যমে এদেশে উচ্চফলনশীল মুলার আবাদ শুরু হলেও এখন মুলার প্রায় ২৫টি জাত পাওয়া যায়। আসছে নিত্যনতুন স্বল্প জীবনকালের অধিক ফলনশীল হাইব্রিড জাত।
বীজ হার ও বপন: আশ্বিন থেকে কার্তিক মাসের মধ্যে অধিকাংশ মুলার বীজ বপন করা হয়। প্রতি হেক্টরে বপনের জন্য ২.৫-৩.০ কেজি বীজের প্রয়োজন হয়। সাধারণত ছিটিয়ে বীজ বপন করা হয় তবে সারিতে বপন করলে পরিচর্যায় সুবিধা হয়।
পরিচর্যা: বীজ বপনের ৭-১০দিন পর অতিরিক্ত চারা তুলে পাতলা করে দিতে হবে। ৩০সেন্টিমিটার দূরত্ব একটি করে চারা গাছ রাখা ভালো। মাটিতে রস কম থাকলে সেচ দিতে হবে। আগাছা পরিষ্কার করে দিতে হবে। মাটি শক্ত হয়ে গেলে নিড়ানি দিয়ে মাটির উপরের ছষচটা ভেঙে দিতে হবে।
পোকামাকড় ব্যবস্থাপনা: মুলা পাতার বিটল বা ফ্লি বিটল পাতা ছোট ছোট ছিদ্র করে খেয়ে ফেলে। এছাড়া করাত মাছি, বিছা পোকা ও ঘোড়া পোকা মুলার পাতা খেয়ে ক্ষতি করে। বীজ উৎপাদনের সময় জাব পোকার আক্রমণ দেখা দেয়।
আরো পড়ুনঃ ভিন্ন স্বাদের চিকেন বেগুন ভর্তা
ফলন: জাত ভেদে হেক্টরপ্রতি মুলার ফলন হয় ৪০-৬০টন।