বেগুন চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- আগস্ট ১৬, ২০২১
বেগুন সবজি হিসেবে সুস্বাদু। এর পুষ্টিগুণ ও মন্দ নয়। প্রায় সারা বছরই চাষ করা যায় এই সবজি। দৈনন্দিন চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি আর্থিক স্বচ্ছলতা আনা সম্ভব। তাহলে আসুন জেনে নেই বেগুন চাষের নিয়ম-
মাটি: সব মাটিতেই বেগুন জন্মে। তবে দোআঁশ, এঁটেল দো-আঁশ ও পলিমাটি বেশি উপকারী। এছাড়া শীতকালে ফলন বেশি হয়।
বীজ রোপন: প্রথমে বীজতলায় চারা তৈরি করে নিন। এরপর ৫-৬ সপ্তাহ বয়সের চারা ৭৫ সেন্টি মিটার দূরত্বে সারি করে ৬০ সেন্টিমিটার দূরে দূরে লাগাতে হয়। গাছের আকার অনুযায়ী দূরত্ব ১০-১৫ সেন্টিমিটার কমবেশি করা যায়।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় মর্নিং সিকনেস হওয়ার কারণসমূহ
সময়: মাঘ ফাগুন মাসে গৃষ্ম কালীন, বৈশাখ মাসে বর্ষাকালীন, ভাদ্র আশ্বিন মাসে শীতকালীন ফসলের জন্য চারা রোপণ করতে হয়।
সার: প্রতি হেক্টর জমিতে ৩৭০-৩৮০ কেজি ইউরিয়া, ১৪৫-১৫৫ কেজি টিএসপি, ২৪৫-২৬০ কেজি এমপি এবং ৮-১২ টন গোবর প্রয়োগ করতে হবে। গোবর সার জমিতে তৈরীর সময় প্রয়োগ করতে হবে। বাকি অর্ধেক গোবর, সম্পূর্ণ টিএসপি এবং এক তৃতীয়াংশ ইউরিয়া ও এমপি সার ৩টি সমান কিস্তিতে রোপনের ২১-৩৫ ও ৫০ দিন পর প্রয়োগ করতে হয়।
পরিচর্যা: মাঝে মাঝে গাছের গোড়ায় মাটি আলগা করে দিতে হয়। শীতকালীন ও আরাম লাগান বর্ষাকালে বেগুন এর জন্য প্রচুর পানি প্রয়োজন হয়। বেলে মাটিতে ১০-১৫ দিন পর সেচ দিতে হয়। বর্ষাকালীন ও বারোমাসি বেগুনের জন্য পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হয়।
আরো পড়ুনঃ মর্নিং সিকনেস কাদের বেশী হয় ?
রোগঃ ঢলে পড়া ফিউজেরিয়াম নামক ছত্রাক দ্বারা এ রোগ হয়। গাছের গোড়া ও শেকর বিবর্ণ হয়ে যায়। এ রোগ হলে পাতা নেতিয়ে পড়ে এবং গাছ ঢলে পড়ে। পরবর্তীতে গাছ মারা যায়।
প্রতিকার: এ জন্য রোগ প্রতিরোধক জাত লাগাতে হবে। আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলতে হবে। আক্রান্ত জমিতে শস্য পরিক্রমা অনুসরণ করতে হবে।