কচুর লতি চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- আগস্ট ২৩, ২০২১
বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে পানি কচুর চাষ হচ্ছে, যা থেকে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ হাজার টন লতি পাওয়া যাচ্ছে। বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে চাষ করা হলে উৎপাদনের পরিমাণ কয়েক গুণ বাড়ানো সম্ভব। সারা বছর ব্যাপী কচুর লতি আবাদ করা যায়।
জাত: বাংলাদেশে লতি কচুর অনেক জাত থাকলেও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে অবমুক্ত লতি কচুর লতি চাষ বেশ লাভজনক।
আরো পড়ুনঃ শিশুর এলার্জি প্রতিরোধে ৫ করণীয়
মাটি: জৈব পদার্থসমৃদ্ধ পলি দো-আঁশ থেকে এঁটেল দো-আঁশ। বেলে মাটিতে রস ধরে রাখা যায় না বলে চাষের জন্য এ ধরনের মাটি ভালো নয়।
কচুর লতি চাষে জমি নির্বাচন: মাঝারি নিচু থেকে উচু যেকোনো জমি, বৃষ্টির পানি জমে না, কিন্তু প্রয়োজনে সহজে পানি ধরে রাখা যায় এমন জমি নির্বাচন করতে হবে।
জমি তৈরি: কচুর লতি পানি কচু থেকে পাওয়া যায়। লতি উৎপাদনের জন্য পানি কচুর জমি শুকনো ও ভেজা উভয় অবস্থাতেই তৈরি করা যায়। শুকনো ভাবে তৈরি করার জন্য ৪/৫ টি আড়াআড়ি চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে ও সমান করতে হবে। ভেজা জমি তৈরি করার জন্য ধান রোপণের জন্য জমি যেভাবে কাদা করা হয় সেভাবেই তৈরি করতে হয়।
রোপনের সময়: খরিপ মৌসুমে কচুর লতি পাওয়া যায় বা সংগ্রহ করা যায় বলে জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাস রোপণের জন্য উপযুক্ত সময়।
আরো পড়ুনঃ ব্রণ দূর করার জাদুকরী দুইটি পানীয়
বংশবিস্তার: পূর্ণবয়স্ক পানি কচুর গোড়া থেকে যেসব ছোট ছোট চারা উৎপন্ন হয় সেগুলোই বীজ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।