ধুন্দলের জাত, জমি, বীজ বপন, পোকামাকড় ও বালাই দমন পদ্ধতি
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- আগস্ট ২৪, ২০২১
ধুন্দল একটি উৎকৃষ্ট সবজি। সুস্বাদু সবজি গুলোর মধ্যে অন্যতম। জাত: স্থানীয় জাতের ছাড়া ধুন্দল উফসী জাতের বারী-১ ও বারী-২ বেশ ভালো। হাইব্রিড জাতের ধুন্দল চাষ করলে ফলন অনেক বেশি পাওয়া যায়। সুপ্রিম সীড, লালতীর, গেটকো, এসিআই, ইয়ং-এর হাইব্রিড বীজ গুলো বেশ ভালো।
জমি: বাংলাদেশের সব এলাকা ধুন্দল চাষের উপযোগী। দোআঁশ পলি দোআঁশ মাটি ধুন্দল চাষ এর জন্য বেশি উপযোগী। ধুন্দল চাষের জন্য মাটির কাঙ্খিত মান পিএইচ ৫.৫ থেকে ৬.৭ এবং তাপমাত্রা ২৫০ সে: থেকে ৩০০ সে:।
আরো পড়ুনঃ জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি এবং স্ট্রোক
বীজ বপনের সময়: পৌষ ও মাঘ মাস ছাড়া সারা বছরই ধুন্দল চাষ করা যায়। তবে ফাগুন থেকে চৈত্র মাস ধুন্দল বপনের উপযুক্ত সময়।
বীজের পরিমাণ: প্রতি শতাংশে ১০-১৫ গ্রাম এবং প্রতি একরে ১.২৫ কেজি থেকে ১.৫০ কেজি। টবে চারা পলিব্যাগে তৈরি করলে বীজের পরিমাণ অনেক কম লাগে।
বীজ বপন পদ্ধতি: ধুন্দল বীজ সরাসরি শেডে বপন করা যায়। তবে শেডে চারা তৈরি করলে উৎপাদন খরচ কম হয়। বীজ বপনের পূর্বে বীজ রোদে ১-২ ঘন্টা রেখে ঠান্ডা করার পর ১২-১৫ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এটি অঙ্কুরোদগম দ্রুততর হয়। সারি থেকে সারি ৫ ফুট এবং চারা থেকে চারার দূরত্ব ৩ ফুট।
নির্দিষ্ট দূরত্বে ২টি বীজ বপন করতে হবে। চারা একটু বড় হলে সুস্থ একটি চারা রেখে অন্যটি তুলে ফেলতে হবে। প্যাকেটের চারা হলে চারা ২-৩ ইঞ্চি লম্বা হলে নির্দিষ্ট দূরত্বে একটি সবল চারা রোপণ করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ খাবারের সাথে আমাশয় সরাসরি সম্পর্কিত নয়
পোকামাকড় ও বালাই দমন: ধুন্দল চারা গজানোর পর থেকে নিয়মিত ম্যানকোজেব জাতীয় ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে। ধুন্দল পোকা দ্বারা আক্রান্ত হলে সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক স্প্রে করতে হবে। ফল ছিদ্রকারী পোকার জন্য বিষটোপ ব্যবহার করতে হবে। নিয়মিত বালাইনাশক ব্যবহার ছত্রাক দ্বারা সহজে আক্রান্ত হবে না।
ফলের সাইজ , ফলন কম হলে জৈব উদ্দীপক হরমোন ১৫ দিন পর পর ৩-৪ বার ব্যবহার করতে হবে।