শিম চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- আগস্ট ৩০, ২০২১
বাংলার ঘরে ঘরে শিম একটি জনপ্রিয় সবজি হিসেবে পরিচিত। কারণ শিম প্রোটিন সমৃদ্ধ সবজি। এর বিচিও সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। এটি জমি ছাড়াও রাস্তার ধারে, পথের আলে, ঘরের চালে, গাছেও ফলানো যায়। আসুন জেনে নেই শিম চাষের পদ্ধতি-
মাটিঃ দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটিতে শিম ভালো জন্মায়।
জাতঃ দেশে ৫০ টিরও বেশি স্থানীয় শিমের জাত আছে। এছাড়াও রয়েছে আধুনিক উচ্চ ফলনশীল জাতও।
আরো পড়ুনঃ আপনার ওজন কমছে, কিন্ত পেট বা কোমরের পরিধির পরিমাপ ঠিক আছে তো ?
সময়: আষাঢ় থেকে ভাদ্র মাস পর্যন্ত বীজ বপনের উপযুক্ত সময়।
পরিমাণঃ সারিতে বোনা হলে ৪-৫ টি দিতে হয়। হেক্টর প্রতি ১৫ কেজি হলেই হবে। আর মাদায় বোনা হলে ৪-৫টি দিতে হয়। হেক্টর প্রতি ১০ কেজি হলেই যথেষ্ট।
জমিঃ বেশি জমিতে আবাদ করা হলে কয়েকটি চাষ ও মই দেওয়া ভালো। মাদার দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও গভীরতার আকার ৪৫ সেন্টিমিটার রাখতে হবে। এক মাদা থেকে অন্য মাদার দূরত্ব হবে ৩.০ মিটার।
সারঃ গোবর ১০ কেজি, খৈল ২০০ গ্রাম, ছাই ২ কেজি, টিএসপি ১০০ গ্রাম, এমওপি ৫০ গ্রাম। মাদা তৈরির সময় এ সার প্রয়োগ করতে হবে। চারা গজালে ১৪-২১ দিন পর পর দুই কিস্তিতে ৫০ গ্রাম করে ইউরিয়া ও ৫০ গ্রাম করে এমওপি সার প্রয়োগ করতে হবে।
বপনপ্রতি মাদায় ৪-৫টি বীজ বুনতে হয়। বীজ বপনের আগে ১০-১২ ঘন্টা বীজ ভিজিয়ে নিতে হবে। প্রতিটি মাদায় ২-৩টি করে সুস্থ চারা রেখে বাকি চারা তুলে ফেলতে হবে।
আরো পড়ুনঃ কোন ব্যথায় কোন সেক দিবেন ?
পরিচর্যাঃ গাছের গোড়ায় যেন পানি না জমে। শুষ্ক মৌসুমে প্রয়োজনমতো সেচ দিতে হবে। মাঝেমাঝে নিড়ানি দিয়ে আলগা করে দিতে হবে। গাছ যখন ১৫-২০ সেন্টিমিটার লম্বা হবে, তখন মাদার গাছের গোড়ার পাশে বাঁশের ডগা মাটিতে পুঁতে বাউনির ব্যবস্থা করতে হবে।
রোগ-বালাইঃ শিমের সবচেয়ে মারাত্মক রোগ মোজাইক ও অ্যানথ্রাকনোজ। এছাড়া চারা অবসপাতা সুড়ঙ্গকারী পোকা ক্ষতিকর। লাল ক্ষুদ্র মাকড়ও অনেক সময় বেশি ক্ষতি হয়ে থাকে। ফুল ফুটলে থ্রিপস ক্ষতি করতে পারে। ফল পেকে এলে শিমের গান্ধী পোকা ক্ষতি করে।
আইপিএম পদ্ধতি অনুসরণ করে এসব পোকামাকড় দমনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
সংগ্রহঃ আশ্বিন-কার্তিক মাসে ফুল হয়। ফুল ফোটার ২০-২৫ দিন পর ফসল সংগ্রহ করা যায়। ৪মাসেরও বেশি সময় ধরে ফল দেয়। ফলন প্রতি শতকে ৩৫-৭৫ কেজি, হেক্টর প্রতি ১০-১৫ টন।
আরো পড়ুনঃ ঘরের কাজের মাধ্যমেই গড়ে তুলন আকর্ষণীয় ফিগার