ওলকচু চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- সেপ্টেম্বর ১, ২০২১
ওলকচুর চাষ পদ্ধতি সঠিকভাবে না জানার কারণে চাষিরা তাদের কাঙ্ক্ষিত ফলন পান না। ওল মাটির নিচে জন্মানো একটি সবজি।
আমাদের দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই ওলকচুর চাষ হয়ে থাকে। ওলকচুতে পুষ্টি ও ঔষধি গুণ উভয়ই বিদ্যমান। ওলকচু তরকারি হিসেবে রান্না করে খাওয়া হয়। আসুন জেনে নেই ওলকচু চাষের পদ্ধতি সম্পর্কে জানুন বিস্তারিত...
জলবায়ু ও মাটির গুণাগুণঃ ওলকচুর জমিতে অবশ্যই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। ছায়া থাকলে ভালো ফলন হবেনা। ওলকচুর গাছ ভালোভাবে বৃদ্ধির জন্য ২৫-৩৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা ও বার্ষিক ১০০-১৫০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন।
আরো পড়ুনঃ ঘরের কাজের মাধ্যমেই গড়ে তুলন আকর্ষণীয় ফিগার
মাটিঃ মাটি নির্বাচনের ক্ষেত্রে এঁটেল দোআঁশ, দোআঁশ, বেলে দোআঁশ মাটি ওলকচু চাষের জন্য উপযোগী।
জাতঃ বাংলাদেশে বিভিন্ন জাতের ওলকচুর চাষ করা হয়ে থাকে। এগুলোর মধ্যে 'মাদ্রাজি' জাতের ওলকচু উৎকৃষ্ট মানের। তবে আমাদের দেশে এখনও ওলকচুর তেমন কোন নির্দিষ্ট জাত আবিষ্কার করা যায়নি।
জমি তৈরি ও চারা রোপনঃ ওলকচু চাষের জন্য মাটি ভালোভাবে চাষ করে নিতে হবে ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে মই দিয়ে মাটি চেপে দিতে হবে। মাঘ মাসের মাঝামাঝি ও ফাল্গুন মাসের মাঝামাঝি ওলকচুর বীজ বপনের জন্য উপযুক্ত সময়।
আরো পড়ুনঃ ভালোবাসার মানুষকে না পাওয়া খুব কি কষ্টের !
সেচ ও পানি নিষ্কাশনঃ ওলকচু চাষে প্রয়োজনীয় সেচের ব্যবস্থাও করতে হবে। বীজ লাগানোর পরে যদি বৃষ্টিপাত না হয় তবে সেচ দিতে হবে। দুই সারি বা প্রতি সারির পাশ দিয়ে হালজা নালা তৈরি করে দিতে হবে যাতে সহজেই বৃষ্টির পানি যেতে পারে। ওলের জমিতে পানি জমতে দেওয়া যাবেনা, এটা খেয়াল রাখতে হবে।
আগাছা ও নিড়ানিঃ ওলকচু চাষে সময়মত আগাছা দমন ও নিড়ানি দিতে হবে। ধান, গমের খড় বা কচুরিপানা দ্বারা আচ্ছাদন দিয়ে ফলন অনেক গুণ বৃদ্ধি করা যায় এবং সহজেই আগাছা দমন করা যায়। চারা গজানোর পর আগাছা দমন করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ‘ওয়াটার থেরাপি’ -তে আপনার ওজন কমিয়ে নিন খুব সহজে