কাঁকরোল চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- সেপ্টেম্বর ১, ২০২১
কাঁকরোল পুষ্টিকর ও জনপ্রিয় সবজি। কাঁচা কাঁকরোল তরকারি, ভাজি ও ভর্তা হিসেবে খাওয়া যায়। এতে প্রচুর ক্যালসিয়াম, ক্যারোটিন, ভিটামিন বি, আমিষ, শ্বেতসার ও খনিজ পদার্থ আছে। তাই জমি, বাড়ির আঙিনা, ছাদে বা টবে সবজি চাষ করতে পারেন। আসুন জেনে নেই কাঁকরোল চাষের পদ্ধতি-
মাটি: সব ধরনের মাটিতে চাষ করা যায়। তবে দোআঁশ, এঁটেল দো-আঁশ মাটি চাষের জন্য উত্তম। চাষের জন্য পানি জমে না, উচু বা মাঝারি উঁচু জায়গা দরকার।
জমি তৈরি: চাষের জন্য মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। এরপর চাষের জমিতে প্রয়োজনীয় মাপের মাদা তৈরি করতে হবে। প্রত্যেক মাদায় ৪-৫ টি বীজ বপন করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ আপনার দুই সন্তানের মাঝে তিক্ততা, বুঝবেন যেভাবে
জাত: কাঁকরোলের বিভিন্ন জাত রয়েছে। এরমধ্যে আসামি, মনিপুরী, মুকুন্দপুর ও মধুপুরি অন্যতম। এসব জাতের ফল গুলো খেতে বেশ সুস্বাদু এবং ফলন বেশি।
পরিচর্যা: চারা জন্মানোর পর আগাছা নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। অবস্থা বুঝে পানি দিতে হবে। তবে জমিতে যেন অতিরিক্ত পানি না জমে। জমলে বের করে দিতে হবে। গাছ ১০-১৫ সেন্টিমিটার লম্বা হলে গোড়ায় বাঁশের কঞ্চি বা কাঠি পুঁতে দিতে হবে। গাছ ৫০ সেন্টিমিটার লম্বা হলে মজবুত মাচা তৈরি করে দিতে হবে।
রোগবালাই: জাব পোকা, মাছি পোকা ও বিছা পোকা গাছের পাতা, ফুল ও ফল নষ্ট করে। কচি কান্ডের রস শুষে নেয়। এসব পোকার আক্রমণ হলে কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও পাউডারী মিলডিউ ও মোজাইক হলে কচি গাছের গোড়া পচে যায় এবং চারা ঢলে পড়ে। সেক্ষেত্রে আক্রান্ত গাছগুলো তুলে পুঁতে ও পুড়িয়ে দিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখবে সজনে ডাটা
সংগ্রহ: কাঁকরোল হলুদ সবুজ হলেই সংগ্রহ করা যায়। রোপণের দেড় দুই মাসের মধ্যে ফুল দিতে শুরু করে। পরাগায়নের ২ সপ্তাহের মধ্যে সংগ্রহের উপযোগী হয়।