নাশপাতি চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- সেপ্টেম্বর ৪, ২০২১
নাশপাতি একটি সম্ভাবনাময় বিদেশি ফল। তবে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেটের পাহাড়ি অঞ্চলে অতি সীমিত আকারে নাশপাতি চাষ শুরু হয়েছে।
নাশপাতি শীতকালীন অঞ্চলের ফল হলেও আমাদের দেশের নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ায় নাশপাতি ফল উৎপাদন সম্ভব। পাহাড়ের ঢালু জায়গায় কিংবা বসতবাড়ির ঢালু জমিতে নাশপাতি চাষ করা যায়। কিভাবে নাশপাতি চাষ করবেন আসুন তা জেনে নেই।
মাটি: সুনিষ্কাশিত, উর্বর দোআঁশ বা বেলে দো-আঁশ মাটিতে নাশপাতি চাষ করা যায়। চট্টগ্রামের কিছু কিছু অঞ্চলে নাশপাতি চাষ শুরু হয়েছে। নেত্রকোনা জেলার দূর্গাপুর পাহাড়ি অঞ্চল নাশপাতি চাষ এর অনুকূলে।
আরো পড়ুনঃ কেমন হবে আপনার নাকফুল !
বংশবিস্তার: কুড়ি সংযোজনের মাধ্যমে সাধারণত নাশপাতি বংশবিস্তার হয়ে থাকে।
সময়কাল: এপ্রিল ও মে মাসে নাশপাতির কলম বাধতে হয়। এরপর জুলাই আগস্ট মাসের দিকে কলম কেটে রোপন করতে হয়। এই সময়টাতেই রোপণের উপযুক্ত সময়।
চারা রোপণ: মধ্য জুন থেকে মধ্য অক্টোবর পাহাড়ি ঢালে স্থানে বা বসত বাড়ির আশেপাশের ঢালু জায়গা তে চারা বা কলম রোপন করতে হয়।
রোপন এর দূরত্ব: নাশপাতি চাষের জন্য ৪-৬ মিটার দূরত্ব গাছ লাগাতে হবে।
সার প্রয়োগ: নাশপাতি গাছের সাধারণত জৈব সার ব্যবহার করাই ভালো। এছাড়া পচা গোবর-১৫ - ২০ গ্রাম, খৈল-১ কেজি, টিএসপি-৫০০ গ্রাম, এমপি-২৫০ গ্রাম।
আরো পড়ুনঃ ত্বকের বলিরেখা দূর করার প্রাকৃতিক উপায়
সার প্রয়োগের কৌশল: ১ মিটার গভীর ও চওড়া গল্পে মাটির সঙ্গে স্তরগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে গর্ত ভরাট করে উপাদানগুলো পচাতে হবে। চারা লাগানোর এক থেকে দেড় মাস পর প্রতি গাছে ১০০ গ্রাম ইউরিয়া প্রয়োগ করলে গাছের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়।
রোগ ও পোকামাকড়: ফাঙ্গাস রোগী নাশপাতির প্রধান রোগ। এছাড়া কান্ড ছিদ্রকারী পোকা নাশপাতি গাছের কান্ড ছিদ্র করে ফেলে। আক্রান ডাল শুকিয়ে মারা যায়।
রোগ দমন কৌশল: যে গাছ আক্রান্ত হবে সে গাছের জন্য করণীয়:
১. আক্রান্ত ডাল ছেঁটে দিতে হবে।
২. ক্ষতস্থানে বের্দো পেস্ট লাগাতে হবে এবং সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ সকালের নাস্তায় ওট্মিল কেন খাবেন ?
নাশপাতি ফল সংগ্রহ: সাধারণত রোপনের ২-৩ বছর পর নাশপাতি গাছে ফল ধরে।
ফলন: বয়স্ক গাছের প্রতি বছর গড়ে ১৫০-২৫০ টি নাশপাতি ফল ধরে।