মালবেরি বা তুঁত চাষ পদ্ধতি
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- সেপ্টেম্বর ৯, ২০২১
দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটিতে তুঁত গাছ খুব ভালো জন্মে। এছাড়া উঁচু ও সমতল জমিতে তুঁত চাষ ভালো হয়। আবহাওয়া ও উর্বর মাটির জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় সবচেয়ে বেশি তুঁত চাষ হয়।
আরো পড়ুনঃ নাক দিয়ে হঠাৎ রক্ত পড়া কারণ জানুন
আমাদের দেশে বিভিন্ন জেলায় সাদা তুঁত, কালো তুঁত, ও লাল তুঁত, এই তিন প্রজাতির গাছের ওপর নির্ভর করে রেশম পোকার চাষ করা হয়। সাদা তুঁত গাছেই রেশম পোকার সবচেয়ে পছন্দের।
তুঁত গাছ একবার লাগালে ২০-২৫ বছর ধরে পাতা দেয়। গাছের উচ্চতা ৬ ফুট হলেই কেটে দিতে হয় যেন গাছের পাতা বেশি হয়। বিভিন্ন উচ্চতায় ছেড়ে দিয়ে তুঁত গাছকে ঝুপি, ঝাড়, ও গাছ তুঁত আকার দেয়।
বীজ থেকে তুঁত গাছের চারা হয়। তবে আমাদের দেশে কলম করে এবং কাটিং করে তুঁত গাছের চারা তৈরি করা হয়। প্রতি বিঘা ঝুপি তুঁত থেকে ১০০-১২০ মন পাতা পাওয়া যায় এবং এই পাতা থেকে বছরে ১৪৯-১৮৬ কেজি রেশম গুটি উৎপন্ন করা যায়। সাধারণত একটি তুঁত গাছের জন্য একটি ডিম প্রয়োজন।
ডিম হতে পুল রেশম পোকা বের হওয়ার ২৫ দিনের মধ্যে গুটি তৈরি করে এবং ২৫ দিন পর্যন্ত পুল পাতা খেতে থাকে। একটি রেশম মথ থেকে ৫০০ রেশম পোকা জন্ম নিয়ে গুটি তৈরি করে ।
আরো পড়ুনঃ গরুর দুধ এইডস প্রতিরোধ করে
ফলে ১ কেজি ভালো মানের গুটি পেতে হলে ৬০০-৭০০ টি ভালো মানের রেশম পোকার প্রয়োজন। প্রতিকেজি গুটি ২৩০-২৪০ টাকা দরে বর্তমানে সুতা কোম্পানির কাছে বিক্রি করা হয়।