পেঁপে চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২১
পেঁপে একটি অতি পরিচিত সুস্বাদু ফল। পেঁপে গাছ লম্বা মোটা যুক্ত ছত্রাকার পাতা বেশ বড় হয় এবং সর্পিল আকারে কাণ্ডের উপরে অংশের সজ্জিত থাকে। পেঁপে গাছ লম্বায় প্রায় ৩ থেকে ৭ ফুট হয়।
পেঁপে চাষে করণীয়: জলবায়ু অনুসারে আমাদের গ্রীষ্মকাল এর ফসল গুলোর মধ্যে ও পেঁপে অন্যতম এবং চাষাবাদের জন্য এ সময়টায় হচ্ছে ভালো সময়।
জমিতে এবং বাড়ির সামান্য পরিসরে লাগাতে পারেন এই সবজি বা ফলটি। আমাদের দেশে অনেক জাত রয়েছে তা থেকে বেছে নিতে পারেন আপনার প্রিয় জাতটি। তবে পেঁপে চাষের জন্য দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটি বেশি উপযোগী।
আরো পড়ুনঃ হঠাৎ প্রেসার বেড়ে গেলে খুব দ্রুত যা খাবেন
পেঁপের জাত প্রকরণ: পেঁপে বিভিন্ন জাতের হয় তার মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত জাতগুলো হলো- ১. ব্লুস্টেম, ২. কাশিমপুরী, ৩. যশোরী, ৪. রাচি, ৫. নউন ইউ, ৬. হানিডিউ, ৭. ছোট পেঁপে, ৮. শাহী পেঁপে, ৯. শংকর জাত।
মাটি নির্বাচন: বিভিন্ন অঞ্চলের মাটি বিভিন্ন রকম আর মাটির গুণাগুণ ও আলাদা। তবে ভালো পেঁপে চাষের জন্য তো আসো বেলে দোআঁশ মাটি বেশি উপযোগী।
চারা রোপণের সময়: এপ্রিল মাস পেঁপে চারা রোপণের উপযুক্ত সময়। তবে সেপ্টেম্বর অক্টোবর মাসে ও পেঁপে চারা রোপণ করা যায়।
আগাছা পরিষ্কার ও সেচ প্রদান: পেঁপে জমির আইলে আগাছা দেখলে সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার করে দিতে হবে। শীতকালে প্রতি ১০-১২ দিন এবং গ্রীষ্মকালে ৬-৭ দিন পরপর সেচ দিতে হয়।
আরো পড়ুনঃ ঋতুস্রাবের সময় যেসব খাবার খাবেন
পুরুষ গাছ এবং গাছ পাতলা করা: চারা রোপণের ২ মাসের মধ্যে গাছে ফুল আসতে শুরু করে। গাছে ফুল আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রতি ১০-১৫ স্ত্রী গাছের জন্য
একটিমাত্র পুরুষ গাছ রেখে দিয়ে বাকি পুরুষ গাছগুলো তুলে ফেলতে হবে। প্রতি মাদায় উঁচু জায়গায় একটি করে স্ত্রী পেঁপে গাছ রাখতে হবে।
খুঁটি দেয়া: দেশি ফল ধরলে বা ঝড়ের হাত থেকে গাছ রক্ষা করতে হলে শক্ত খুঁটি মাটিতে পুঁতে দিয়ে গাছের কাণ্ডের সঙ্গে বেঁধে দিতে হবে।
পেঁপের রোগবালাই: বীজে রোগ আক্রমণ করলে চারা গজানোর আগেই পচে যায়। তারা আক্রান্ত হলে গাছের গোড়ায় বাদামী বর্ণের পানি ভেজা দাগের সৃষ্টি হয়। তখন গাছ ঢলে পড়ে মরে যায় এবং সহজেই বাতাসে ভেঙ্গে পড়ে।
মোজাইক রোগের গাছ আক্রান্ত হলে পাতা সবুজ ও হলুদ রঙের দাগ দেখা যায়। পাতা খর্বাকৃতির হয়। অনেক সময় পাতার সম্পূর্ণ কুঁকড়ে যায়। এছাড়াও পাতা কুঁকড়ে যায় পাতার শিরা গুলো অপেক্ষাকৃত মোটা হয়। গাছ আকারে ছোট এবং ফল কম। এ রোগের ভাইরাস সাদা মাছি দ্বারা কাছ থেকে গাছে ছড়ায়।
আরো পড়ুনঃ গর্ভকালীন স্ট্রেচ মার্ক, কারণ ও প্রতিকার
ফল সংগ্রহ: চারা রোপণের ৩ মাসের মধ্যেই ফুল আসে এবং ফল ধরার ২-৩ মাসের মধ্যেই সবজি হিসেবে পেঁপে সংগ্রহ করা যায়। পেঁপে অল্প সময়ে ফল দেয় এবং প্রায় সারা বছরে পেঁপে গাছে ফল ধরে, এ যেন অনেকদিন ধরে সময় অপেক্ষা করে বসে থাকতে হয় না। পেঁপে কাঁচা ও পাকা তেঁতুল খাওয়া যায় বলে বাজারে পেঁপে অনেক চাহিদা। এজন্য পেঁপে চাষ করে অনেক লাভবান হওয়া যায়।