
লটকন চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২১
লটকন বাংলাদেশের সুপরিচিত একটি অপ্রচলিত ফল। উৎপাদনের পরিমাণ বেশি না হলেও বাংলাদেশের সব এলাকাতেই এর চাষ হয়। মাটি: সুনিষ্কাশিত প্রায় সব ধরনের মাটিতে লটকন চাষ করা যায় তবে বেলে দোআঁশ মাটির লটকন চাষের জন্য সবচেয়ে উপযোগী। লটকন গাছ স্যাঁতস্যাঁতে ও আংশিক ছায়াময় পরিবেশে ভালো জন্মে কিন্তু জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না।
আরো পড়ুনঃ কড়া রোদে আপনার ত্বক কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ?
চারা তৈরি: বীজ থেকে চারা উৎপাদন করে বংশবিস্তার করা যায়। তবে এতে ফলের মাতৃগুণ বজায় থাকে না। এজন্য গুটি কলমের চারা ব্যবহার করা ভালো। লটকন এর বীজের আবরণ অত্যন্ত শক্ত। তাই জমিতে বা পলিব্যাগে বোনার আগে এক থেকে দু দিন পানিতে ভিজিয়ে নিল এছাড়া দ্রুত গজায়।
জমি তৈরি: চাষ ও মই দিয়ে জমি সমতল এবং আগাছা মুক্ত করে নিতে হবে।
গর্ত তৈরি ও সার প্রয়োগ: ১ মিটার চওড়া ও ১ মিটার গভীর গর্ত করে প্রতি গর্তে ১৫-২০ কেজি জৈব সার বা গোবর, ৫০০ গ্রাম টিএসপি ও ২৫০ গ্রাম এমপি সার গর্তের মাটির সাথে মিশিয়ে গর্ত ভরাট করে রাখতে হবে।
চারা রোপণ: গর্ত ভরাট করার ১০-১৫ দিন পর নির্বাচিত চারা গর্তের মাঝখানে সোজা ভাবে লাগাতে হবে চারা লাগানোর পর পরই পানি দিতে হবে।
রোপনের সময়: বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ (এপ্রিল-মে) মাস চারা রোপণের উপযুক্ত সময়। তবে বর্ষার শেষের দিকে অর্থাৎ ভাদ্র আশ্বিন মাসে ও গাছ রোপন করা যেতে পারে।
আরো পড়ুনঃ আপনার চুলের ধরন অনুযায়ী হেয়ার প্যাক !
পরিচর্যা ও পানি সেচ: চারা রোপণের প্রথম দিকে ঘন ঘন সেচ দেয়া দরকার। ফল ধরার পর শুকনো মৌসুমে শীতের শেষে গাছে ফুল আসার পর দুই একটা সেট দিতে পারলে ফলের আকার বড় হয় ও ফলন বাড়ে।
ডাল ছাঁটাই: গাছের মরা ডাল এবং রোগ ও পোকা আক্রান্ত ডাল ছাঁটাই করে দিতে হবে।
ফল সংগ্রহ: শীতের শেষে গাছে ফুল আসে এবং জুলাই-আগস্ট মাসে ফল পাকে। ফলের রং হালকা হলুদ থেকে ধূসর বর্ণ ধারণ করলে ফল সংগ্রহের উপযুক্ত সময়।