বরই বা কুল চাষের সহজ নিয়ম

  • ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
  • অক্টোবর ১৪, ২০২১

বরই একটি সুস্বাদু ফল। কোন কোন অঞ্চলে একে কুল বলা হয়। এটি বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গায় সব ধরনের মাটিতে জন্মে। আসুন জেনে নেই বর‌ই চাষের নিয়ম কানুন।

বংশবিস্তার: বীজ এবং কলমের মাধ্যমে বংশবিস্তার করা যায়। কলমের চারা বংশগত গুনাগুন অক্ষুন্ন থাকে। বীজ থেকে চারা পেতে বীজ ভেজা গরম বালিশের ভেতর দেড়-দুই মাস রেখে দিলে তাড়াতাড়ি গজায়। নাহলে ৬-৮ সপ্তাহ সময় লেগে যায়। কলমের চারা পেতে নির্বাচিত স্থানে বীজ বপন ও চারা তৈরি করে তার ওপর বাডিং এর মধ্যে কলম করে নেওয়া ভালো।

আরো পড়ুনঃ পিরিয়ডের সময় তলপেটে ব্যথার কারণ এবং প্রতিকার !

বলয়, তালি এবং টি বাডিং যেকোনো পদ্ধতিতেই বাডিং করা যায়। বাডিং করার জন্য বীজের ছাড়ার রুট স্টক বয়স ৯ মাস থেকে ২ বছর পর্যন্ত হতে পারে। জাত, স্থান ও জলবায়ু ভেদে মধ্য মাঘ থেকে মধ্য ফাল্গুনে শুরু করে মধ্য আষাঢ় থেকে মধ্যক ভাদ্র মাস পর্যন্ত বাডিং করা যায়। তবে মধ্য বৈশাখ থেকে মধ্য আষাঢ় উপযুক্ত সময়। এক্ষেত্রে সংগ্রহের উদ্দেশ্যে নির্বাচিত জাত এবং রুটস্টক উভয়েরই পুরনো ডালপালা ছাঁটাই করে দিতে হয়। এরপর নতুন শাখাকে বাডিং এর কাজে লাগাতে হয়।

মাটি: যেকোনো ধরনের মাটিতে বর‌ইয়ের সন্তোষজনক ফলন পাওয়া যায়। বর‌ই গাছ লবণাক্ততা ও জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে। তবে ভারী ও সামান্য ক্ষারযুক্ত বেলে দো-আঁশ মাটিতে বড়ই ভালো ফলন পাওয়া যায়।

আরো পড়ুনঃ প্রতিদিন সকালে লেবু পানি পানে আপনি কি কি পাবেন ?

জমি তৈরি: বাগান আকারে চাষের জন্য উঁচু ও মাঝারি উঁচু জমি ভালো। তাছাড়া বাড়ির আনাচে কানাচে, পুকুরপাড়ে বা আঙিনায় পড়ে থাকা অনুর্বর মাটিতে গর্ত করে চাষ করা যায়।

রোপন: বাগান আকারে চাষের জন্য বর্গাকার রোপন প্রণালী অনুসরণীয়। রোপণ দূরত্ব ৬-৭ মিটার। জাত ও স্থানভেদে দূরত্ব কম বেশি হবে। চারা রোপণের মাসখানেক আগে ১*১*১ মিটার আকারের গর্ত তৈরি করে নিতে হবে।

সময়: মধ্যমাঘ থেকে মধ্য চৈত্র এবং মধ্য শ্রাবণ থেকে মধ্য ভাদ্র রোপন করা যায়।

সার: রোপণের ১০-১২ দিন আগে ইউরিয়া ২০০-২৫০ গ্রাম, টিএসপি ২০০-২৫০ গ্রাম, এমপি ২৪৫-২৫৫ গ্রাম, পচা গোবর ২০-২৫ কেজি হারে সার প্রয়োগ করতে হবে।

ফল সংগ্রহ: জাত অনুসারে মধ্য পৌষ থেকে মধ্য চৈত্র মাসের মধ্যে ফল পাওয়া যায়। ফলের রং হালকা সবুজ বা হলদে হলে সংগ্রহ করতে হয়। গাছ প্রতি ৫০-২০০ কেজি ফলন পাওয়া যায়।

আরো পড়ুনঃ "একটু জোরে হাঁচি বা কাশি দিলেই আমার প্রসাব বের হয়ে আসে !"

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment