
বাঙ্গি চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- অক্টোবর ১৬, ২০২১
বাঙ্গি একরকমের শসা জাতীয় ফল। দেশের প্রায় সব এলাকাতেই গ্রীষ্ম কালে বাঙ্গি জন্মে। তরমুজের পর এটি অধিক প্রচলিত শসা গোত্রীয় ফল। বাঙ্গি দেখতে অনেকটা শসা গাছের মতো লতানো।
বীজ বপনের সময়: গ্রীষ্ম কালে বাঙ্গি জন্মে। মার্চ থেকে এপ্রিল মাস বীজ বপনের সময়।
জলবায়ু ও মাটি: বাঙ্গি চাষের জন্য শুষ্ক ও উষ্ণ জলবায়ু সবচেয়ে উপযোগী। উর্বর বেলে দো-আঁশ ও পলি মাটি বাঙ্গী চাষের জন্য সর্বোত্তম।
আরো পড়ুনঃ যে ৬ সমস্যা অবহেলা করলে পুরুষের বিপদ
চারা রোপণ: জমিতে আড়াআড়ি চাষ ও মই দিয়ে জমি প্রস্তুত করতে হবে। জাত ভেদে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারিতে বাঙ্গির বীজ বপন করা হয়। প্রায় ৫ সবথেকে ৬.৬৭ ফুট দূরত্বে ১.৩৩ ফুট চওড়া ও গভীর মাদা তৈরি করে প্রতি মাদায় ৪-৫ টি বীজ বুনে চারা গজানোর পরে ২-৩ টি রেখে বাকিগুলো তুলে ফেলতে হয়।
সার প্রয়োগ: গোবর সার ৪০ কেজি, ইউরিয়া ২৫০ গ্রাম, টিএসপি ৩০০ গ্রাম, পটাশ ২০০ গ্রাম।
সেচ প্রয়োগ: বাঙ্গি খরা সহ্য করতে পারে। কিন্তু ভাল ফলনের জন্য শুকানোর সময় সেচ দিতে হবে। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে গাছের গোড়ায় পানি যেন না জানে। কারণ গাছের গোড়ায় পানি জমলে গোড়া পচা রোগ হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ মাস্ক পড়লে মাথা ব্যথা করে? জানুন করণীয়
ফলন: প্রতি শতাংশ জমিতে ৮০-১০০ কেজি ফলন হয়। ফলের ওজন ১-৪ কেজি পর্যন্ত হতে পারে।