
কাঁঠাল চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- অক্টোবর ২১, ২০২১
কাঁঠাল বাংলাদেশের জাতীয় ফল। জ্যৈষ্ঠ আষাঢ় মাসে কাঁঠাল পাকে। তখন ঘরে ঘরে কাঁঠাল খাওয়ার ধুম পড়ে। ফলে কাঁঠাল চাষ করেও সফল হওয়া যায়। কারণ বাজারে কাঁঠালের চাহিদা কম নয়। তাই আসুন জেনে নিই কাঁঠাল চাষ করার নিয়ম-
জমি নির্বাচন: পানি দাড়ায় না এমন উঁচু ও মাঝারি সুনিষ্কাশিত উর্বর জমি কাঁঠালের জন্য উপযোগী।
আরো পড়ুনঃ ‘ওয়াটার থেরাপি’ -তে আপনার ওজন কমিয়ে নিন খুব সহজে
চারা তৈরি: কাঁঠালের বীজ থেকে কাঁঠালের চারা তৈরি করা হয়। ভালো পাকা কাঁঠাল থেকে পুষ্ট বড় বীজ বের করে ছাই মেখে ২-৩ দিন ছায়ায় শুকিয়ে বীজতলায় বপন করলে ২০-২৫ দিনে চারা গজাবে। এছাড়া গুটি কলম, ডাল কলম, চোখ কলম, চারা কলম এর মাধ্যমেও চারা তৈরি করা যায়।
চারা রোপণ: চারা সতর্কতার সাথে তুলে মূল জমিতে রোপণ করতে হয়। সুস্থ, সবল ও রোগমুক্ত চারা বা কলম মধ্য জৈষ্ঠ থেকে মধ্য শ্রাবণ মাসে রোপণ করতে হয়। গাছ ও লাইনের দূরত্ব ১২ মিটার করে রাখা দরকার।
সার: রোপণের সময় প্রতি গর্তে গোবর ৩৫ কেজি, টিএসপি সার ২১০ গ্রাম, এমওপি সার ২১০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হয়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে প্রতি গাছের জন্য সারের পরিমাণ বাড়ানো দরকার।
সেচ ব্যবস্থাপনা: চারা বা কলম এর দ্রুত বৃদ্ধির জন্য পরিমিত সময় হত সেচ দেওয়া দরকার।
আরো পড়ুনঃ ঘরের কাজের মাধ্যমেই গড়ে তুলন আকর্ষণীয় ফিগার
রোগবালাই: এক ধরনের ছত্রাকের আক্রমণে কাঁঠালের রোগ হয়। এ রোগের আক্রমণে ফলের গায়ে বাদামী রঙের দাগ হয় শেষ পর্যন্ত আক্রান্ত ফল গাছ থেকে ঝরে পড়ে।
প্রতিরোধ: আক্রান্ত গাছের নিচে ঝরে পড়া পাতা ও ফল পুড়িয়ে ফেলতে হয়। ছত্রাক নাশক ০.০৫% হারে প্রতিদিন মিশিয়ে গাছে ফুল আসার পর থেকে ১৫ দিন পর পর ৩ বার স্প্রে করা দরকার। ফল ঝরে পড়লে ডাইথেন এম ৪৫ বা রিডোমিল এমজেড ৭৫ প্রতিলিটার পানিতে ২.৫ গ্রাম করে মিশিয়ে স্প্রে করতে হয়।
ফল সংগ্রহ: কাঁঠাল পাকতে ১২০-১৫০ দিন সময় লাগে সাধারণত জ্যৈষ্ঠ আষাঢ় মাসে কাঁঠাল সংগ্রহ করা হয়। এ সময় বাজারে প্রচুর কাঁঠাল পাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ আপনি কি নীরব ঘাতক ডিপ্রেশনে ভুগছেন ?