কাঁটা নটে সম্পর্কে বিস্তারিত
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- নভেম্বর ৩, ২০২১
কাঁটানটে বহুবর্ষজীবী। কান্ড ও পাতা সাধারণত লালচে দাগ যুক্ত। পাতার আকৃতি অনেকটা ছোট। পাতার আগার দিকটা ক্রমশ সরু। পাতার বোটায় দীর্ঘ লম্বা সূচালো দুটি কাটা থাকে। কান্ড শক্ত গাঁটযুক্ত এবং কাঁটায় ভরা থাকে। কান্ড খাড়া হালকা গোলাপী এবং শাখা প্রশাখাবিশিষ্ট। ফুলের রঙ ফিকে সবুজ, গুচ্ছবদ্ধ অবস্থায় থাকে। বীজ চকচকে কালো। বীজ দিয়ে বংশবিস্তার হয়।
আরো পড়ুনঃ হঠাৎ শরীরে কালশিটে পড়া হতে পারে মারাত্মক রোগের লক্ষণ
বংশবিস্তারঃ বীজ থেকে বংশবিস্তার হয়ে থাকে। বীজের রঙ কালো তবে রঙ উজ্জ্বল হয়ে থাকে। বর্ষার শেষে গাছে ফুল ফোটে, আশ্বিন মাসে ফল ধরে। পতিত জমি ও ক্ষেতের আইলে নিজে থেকেই জন্মে থাকে। এমনকি শাক সবজির ক্ষেতেও দু'চারটে কাঁটানটে দেখতে পাওয়া যায়।
চাষের সময়ঃ বীজের রঙ কালচে হলেও উজ্জ্বল। বর্ষার শেষে গাছে ফুল হয় ও আশ্বিনে ফল।
অন্যান্য ব্যবহারঃ কাঁটানটে একটি অনাবাদি উদ্ভিদ। এটা শাক ও ওষুধি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
পুষ্টি উপাদানঃ কাঁটানটে উন্নত মানের পুষ্টি উপাদানের সমৃদ্ধ। আহার উপযোগী কাঁটানটে শাকে রয়েছে- প্রোটিন, ভিটামিন-এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, থায়ামিন, রিভাফ্লাভিন, নিয়াসিন, panthothenuc acid।
আরো পড়ুনঃ শরীরের মেদ কমাতে সকালে খালি পেটে আমলকির রস খান
খনিজ উপাদানের মধ্যে রয়েছে- ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, জিঙ্ক, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়াম আরও রয়েছে histidine, isoleucine, leucine, threonine লাইসিন, ট্রিপটোফেন ইত্যাদি।