এপ্রিকট বা খুবানি চাষ পদ্ধতি
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- নভেম্বর ২৩, ২০২১
খুবানি ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, এ, ফাইবার ও ক্যালোরি থাকে যার বাজার চাহিদা অনেক বেশি। এই ফল আমাদের ত্বক ও চোখের সমস্যায় ব্যাপকভাবে কাজ করে। তাই এই ফল চাষের সিদ্ধান্ত আপনাকে লাভবান করতে পারে।
মাটি ও জলবায়ু: এই গাছগুলি শীতল আবহাওয়া এবং নিচু জমিতে ভালো ফলন দিয়ে থাকে। শীতকালীন অঞ্চলে চাষ হয়ে থাকে। এদের মধ্যে ভূমধ্যসাগর অঞ্চল প্রধান। এই ফলের চাষের জন্য হালকা দোআঁশ বা বেলে-দোআঁশ, পর্যাপ্ত পরিমাণে চেরোজেম এবং খনিজ যুক্ত মাটির প্রয়োজন। মাটির অম্লতা নিরপেক্ষ বা কিছুটা অম্লীয়।
আরো পড়ুনঃ শিশুর সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে মা-বাবার জন্য পরামর্শ
চারা রোপণ ও নির্বাচন: চারা রোপণের সঠিক সময় হল মার্চ বা নভেম্বর মাস। ৩ বছর বয়সের চারা রোপন করার প্রয়োজন। এই গাছ লাগানোর ৪-৫ বছরের মধ্যে ফল উৎপাদিত হয়।
সার প্রয়োগ: খুবানি চাষ থেকে ভালো ফলন পেতে বেশ কয়েকবার সার প্রয়োগ করতে হবে। শীতের শেষ দিকে সার প্রয়োগ করার সঠিক সময়। খুবানি গাছ থেকে একবার ফল সংগ্রহের পর গাছগুলোকে নতুনভাবে অধিক ফল উৎপাদনের জন্য নাইট্রোজেন প্রয়োগ করা অতি প্রয়োজন। এছাড়াও গ্রীষ্মের শেষে ভালো মানের ফসফরাস প্রয়োগ করতে হয়।
গাছের সেচের ব্যবস্থা: গাছটি ছোট অবস্থায় অতিরিক্ত রোদ থেকে রক্ষা করতে গাছের গোড়ায় কিছু দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। এই গাছটিকে ঋতুভেদে শেষ দিতে হয়। বসন্তকাল, গ্রীষ্মকাল, শরৎকালে জল দিয়ে গাছটিকে ভিজিয়ে নিতে হবে। তবে লক্ষ রাখতে হবে, গাছের উপরিভাগে যেন জল না জমে।
আরো পড়ুনঃ যে পাঁচটি ফল খাওয়া জরুরি পুরুষদের
রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা: খুবানি গাছে বিভিন্ন পোকামাকড় আক্রমণ করে।বিশেষ করে মাছের আক্রমণের কাছের পচন রোগ দেখা যায়। এর হাত থেকে রক্ষা করতে মাঝে মাঝে রাতের বেলা গাছটিকে ঢেকে দিতে হবে। দিনের বেলা সূর্যের আলো পেতে ও মৌমাছির পরাগায়নের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। কৃত্রিম উপায়ে পরাগায়নের জন্য হালকা কিছু দিয়ে প্রতিটি গাছের ফুল গুলোকে নাড়া দিতে হবে।