আলুবোখারা চাষ পদ্ধতি
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- ডিসেম্বর ৬, ২০২১
আলুবোখারা বৃহৎ গুল্ম জাতীয় একটি গাছ। বসন্তকালের ফুল ফোটে এবং গ্রীষ্মকালে ফল পরিপক্ক হয়। ফলের আকার ডিম্বাকৃতি বা গোলাকৃতি হয়। আলু বোখরা মসলাজাতীয় ফল হিসেবে বিবেচিত। পোলাও, বিরিয়ানি, রোস্ট, সালাদ, জ্যাম, জেলি, আচার এবং বোরহানি সহ নানা অভিজাত খাবার তৈরিতে আলু বোখরা ব্যবহার করা হয়। সাধারণত আলুবোখারা ইরাক, ইরান, পাকিস্তান ও ভারতে জন্মে থাকে। তবে বর্তমানে বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ হচ্ছে। ছাদেও এর চাষ সম্ভব।
আরো পড়ুনঃ কোমল ও মসৃণ পা পেতে সহজ ঘরোয়া টিপস
ছাদে আলুবোখারা চাষ পদ্ধতি: ছাদে আলুবোখারা চাষ করতে হলে একটু বড় সাইজের সিমেন্টের টব বা হাফ ড্রাম, ব্যবহার করতে হবে। ড্রামের নিচের দিকে ৩-৫ টি ছিদ্র করে নিতে হবে। যাতে গাছের গোড়ায় পানি জমে না থাকে। টব বা ড্রামের তলায় ছিদ্রগুলো ইটের ছোট ছোট টুকরা দিয়ে বন্ধ করে দিতে হবে। টব বা ড্রামের গাছটিকে ছাদের এমন জায়গায় রাখতে হবে যেখানে একটু বেশি সময় পায়।
এবার ২ ভাগ বেলে দোআঁশ মাটি, ১ ভাগ গোবর, ১০০ গ্রাম টিএসপি সার, ৮০ গ্রাম পটাশ সার, ১০০ গ্রাম সরিষার খৈল এবং ৪০০ গ্রাম হাড়ের গুড়া একত্রে মিশিয়ে ড্রাম বা টবে পানি দিয়ে রেখে দিতে হবে। ১০-১২ দিন। অতঃপর মাটি কিছুটা খুঁচিয়ে দিয়ে আবার ৮-১০ দিন এভাবেই রেখে দিতে হবে।
মাটি যখন ঝুরঝুরে হবে তখন একটি সরল সুস্থ কলমের চারা উক্ত টব বা হাফ ড্রামে রোপণ করতে হবে। চারাগাছটি কে সোজা করে লাগাতে হবে। সেই সাথে গাছের গোড়ায় মাটি কিছুটা উঁচু করে দিতে হবে এবং মাটি হাত দিয়ে চেপে চেপে দিতে হবে। জাতের গাছের গোড়ায় বেশি পানি না ঢুকতে পারে। একটি সোজা কাঠি দিয়ে গাছটিকে বেঁধে দিতে হবে। চারা লাগানোর পর প্রথম দিকে পানি কম দিতে হবে। আস্তে আস্তে পানি বাড়াতে হবে।
আরো পড়ুনঃ হলদে দাঁত সাদা করুন মাত্র দুই উপকরণে
অন্যান্য পরিচর্যা: টব বা ড্রামে চারা লাগানোর ৪-৫ মাস পর থেকে নিয়মিত ১৫-২০ দিন অন্তর অন্তর সরিষার খৈল পচা পানি প্রয়োগ করতে হবে। সরিষার খৈল কমপক্ষে ৭ দিন পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর সে পচা খালের পানি পাতলা করে গাছের গোড়ায় দিতে হবে। প্রতিবছর টবের আংশিক মাটি পরিবর্তন করে দিতে হবে। ২ ইঞ্চি প্রস্থে এবং ৮ ইঞ্চি গভীরে শিকড়সহ মাটি ফেলে দিয়ে নতুন সার মিশ্রিত মাটি দিয়ে তা ভরে দিতে হবে।
মাটি পরিবর্তনে এ কাজটি সাধারণত বর্ষার শেষ এবং শীতের আগে করলেই ভাল হয়। আলুবোখারা গাছের শিকড় খুব বেশি হয়। তাই মাঝে মাঝে মাটি খুঁচিয়ে দেয়ার সময় কিছু শিকড়ও কেটে দিতে হবে।