ছোলার শাক চাষ পদ্ধতি
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- ডিসেম্বর ১২, ২০২১
আমাদের দেশে ছোলার ডাল বেশ জনপ্রিয় সুস্বাদু খাবার। আমার দেশের প্রায় সকল জেলায় ছোলার চাষ করা যায়। ছোলা উৎপাদন করে পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অতিরিক্ত উৎপাদন বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করা সম্ভব। চাষের পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া হলো....
বীজ নির্বাচনঃ ছোলা চাষের জন্য বীজ হতে হবে তেজস্বী, উচ্চগুণমান সম্পন্ন, রোগমুক্ত ও সুস্থ বীজ। বীজ বাহিত রোগ এড়ানোর জন্য বপন করার আগে বীজ শোধন করে নিলে ভালো হবে।
আরো পড়ুনঃ ফুসফুসের ক্যান্সার হলে যেসব লক্ষণ প্রকাশ পায়
বীজের হারঃ বিঘা প্রতি জমিতে ছোলা চাষের জন্য ৬-৮ কেজি বীজের দরকার হয়।
সময়ঃ ছোলার বীজ উত্তম সময় অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত।
জাত নির্বাচনঃ আমাদের দেশে বিভিন্ন জাতের ছোলার জাত রয়েছে।
এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বারি ছোলা-২, বারি ছোলা-৩, বারি ছোলা-৪, বারি ছোলা-৫ ইত্যাদি। এগুলো সবই উচ্চফলনশীল জাত।
জমি তৈরিঃ ছোলা চাষের জন্য উত্তম মাটি হচ্ছে বেলে দো-আঁশ বা এটেল দো-আঁশ মাটি। ছোলা চাষের আগে জমিতে উত্তমভাবে ৩-৪ বার চাষ ও মই দিয়ে নিতে হবে। এবং জমির মাটি ভালো করে ঝুরঝুরে করে নিতে হবে।
বীজ বপনঃ ছোলার বীজ ছিটিয়ে ও সারিতে দুই ভাবেই বোনা যায়। সারিতে বীজ বপন সারি থেকে সারির দূরত্ব কমপক্ষে ৪০ সে.মি হতে হবে। বীজ একটু গভূর করে বপন করতে হবে যাতে করে পাখি নষ্ট না করতে পারে
আরো পড়ুনঃ পুরুষের বীর্য কি রক্ত থেকে তৈরী হয় ?
সার ও সেচ পদ্ধতিঃ জৈব সার ছোলা চাষের জন্য উত্তম। মাটির ধরন ও গুণাগুণ অনুযায়ী অন্যান্য সার দিতে হবে৷ তারপর জমিতে রস না থাকলে বীজ বপনের পর ২/১ টা সেচ দিতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে জমিতে যেন বন্যা বা বৃষ্টির পানি জমে না থাকে।
পরিচর্যাঃ জমিতে আগাছা থাকলে তা পরিষ্কার করতে হবে। যাতে পোকামাকড়, রোগজীবাণু ও ইঁদুরের আক্রমণ কম হয়।
ফসল সংগ্রহঃ জমির ফসল পেকে গেলে তা সংগ্রহ করতে হবে। ভাল জাতের ফসল চাষ করলে বিঘা প্রতি ২৪০-২৭০ কেজি ফসল উৎপাদন করা যায়।