বাচ্চা ঘুমাতে চায় না, জেনে নিন ঘুম পাড়ানোর সহজ উপায়
- কবিতা আক্তার
- ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২
পর্যাপ্ত ঘুম এনার্জি, নিউরোলজিক্যাল ফাংশন, মেজাজ ঠিক রাখা, শারীরিক এবং মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই বাচ্চার সুস্বাস্থ্যের বজায় রাখতে পুষ্টিকর খাদ্যের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণ অত্যন্ত প্রয়োজন। এমন কিছু খাবার আছে যা বাচ্চার পুষ্টির পাশাপাশি তাকে ভালভাবে ঘুমাতে ও সহায়তা করে।
বাচ্চাদের খাদ্যতালিকায় এগুলো অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন-
দুধ: এক গ্লাস গরম দুধ ভালো ঘুম হওয়ার সবচেয়ে কার্যকরী উপায়। দুধে ট্রিপটোফ্যান থাকে যা সেরেটোনিন ও মেলাটোনিন উপাদানের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অ্যামিনো এসিড। দুধ ভালো ঘুম হতে সহায়তা করে।
আরো পড়ুনঃ পটেটো ললিপপ
ডিম: ডিম কেবলমাত্র উচ্চমানের প্রোটিন এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ নয় এটি ট্রিপটোফ্যান এর প্রাকৃতিক উৎস। যা এক ধরনের অ্যামাইনো এসিড। এটি সেরোটোনিন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যা স্লিপ সাইকেল নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করে।
ছোলা: ছোলা অ্যামিনো এসিড ট্রিপটোফ্যান সমৃদ্ধ। যা মেলাটোনিন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ছোলাতে ভিটামিন বি ৬ থাকে, যা সেরাটোনিন উৎপাদনে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। মেলাটোনিন ও সেরোটোনিন উভয়ই দুর্দান্ত ঘুম হতে সহায়তা করে।
কলা: ম্যাগনেসিয়াম এর ঘাটতি হলে ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর কলা ট্রিপটোফ্যান এবং ম্যাগনেসিয়াম এর দুর্দান্ত উৎস। তাই এটি ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ কাঁচকলা ও ইলিশ মাছের ভর্তা
খেজুর: বাচ্চা যদি মিষ্টি জাতীয় কিছু খেতে চায় তাহলে খেজুর সবচেয়ে ভাল অপশন হতে পারে। খেজুর ভালো ঘুমের জন্য দুর্দান্ত কাজ করে। খেজুরে ভিটামিন বি ৬ এবং পটাশিয়াম থাকে যা ঘুমের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আখরোট: আখরোট মেলাটোনিন হরমোন এর একটি দুর্দান্ত উৎস। যা ঘুম নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ফাইবার এবং উদ্ভিদ ভিত্তিক প্রোটিন থাকে। যা ভালো ঘুমের জন্য দুর্দান্ত কাজ করতে পারে।