সন্তানকে ১০ বছর বয়সের আগেই শেখান এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো

  • কবিতা আক্তার
  • ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২

আপনি যখন একজন বাবা-মা হয়ে উঠেন তখন আপনি আপনার সন্তানকে ভবিষ্যতের জন্য বড় দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। প্রত্যেক বাবা-মায়ের আয় চান তাদের সন্তান যেন সৎ, সহানুভূতিশীল এবং সাহসী হয়। যে বিষয়গুলো আপনি আপনার সন্তানকে ১০ বছর বয়সের আগেই শেখাবেন।

১. ছেলে এবং মেয়ে উভয় কে সম্মান করতে হবে: অন্যদের সম্মান করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য যা আপনার সন্তানকে শিক্ষা দেওয়া উচিত। সেটা যে কোনো লিঙ্গের মানুষকে, সম্মানিত ব্যক্তিদের এমনকি সমবয়সী এবং ছোটদেরকেও সম্মান করতে শিখবে হবে।

আরো পড়ুনঃ রান্না করা খাবার কত দিন ফ্রিজে রাখা যাবে

২. ভুল করতে ভয় পাবে না: কারো ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া টা একটা অসাধারণ প্রতিভা। এছাড়াও নিজের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নেওয়া টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার সন্তান যাতে ভুল করতে বা হারতে ভয় না পায় সেদিকে লক্ষ রাখুন।

৩. গ্রেড পয়েন্ট এর চেয়ে জ্ঞান বেশি গুরুত্বপূর্ণ: মাঝেমধ্যে অভিভাবকেরা বাচ্চার গ্রেড পয়েন্ট খারাপ হলে বা প্রত্যাশা অনুযায়ী না হলে রেগে যায়।একটা কথা সবসময় মনে রাখতে হবে যে আপনি ভালো গ্রেটে সবসময় ভাল জ্ঞান কে নির্দেশ করে না। তাই আপনার সন্তানকে একটি শিক্ষা দিতে হবে যে গ্রেট পয়েন্ট এর চেয়ে জ্ঞান অর্জন করাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

৪. সন্তানদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক: সন্তানদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা সহজ বিষয় নয়, বিশেষ করে তার যদি সমবয়সি নিজের বন্ধুদের সাথে থাকে। বেশি জোর করতে যাবেন না। তাদের সাথে এমন আচরন করুন যাতে তারা আপনার উপর বিশ্বাস করতে পারে।

আরো পড়ুনঃ সম্পর্কে ক্ষমা চাওয়া কেন গুরুত্বপূর্ণ ?

৫. সব সময় নিজের জন্য দাঁড়াতে প্রস্তুত থাকুন: কিছু বাবা-মা বাচ্চাদের চেয়ে শিক্ষক বা অন্য মানুষের জন্য বেশি সম্মান প্রদর্শন করে থাকে। এটি ভবিষ্যতে বাচ্চাদের পড়া নিরাপদ এবং নিজের জন্য দাঁড়াতে অক্ষমতা হওয়ার একটা কারণ হতে পারে। আপনার সন্তানকে বুঝিয়ে বলুন যে শ্রদ্ধা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় কিন্তু নিজেকে রক্ষা করাটাও জরুরী।

৬. আপনার অপছন্দের বিষয় টা কারো কথায় করতে যাবেন না: শিশুরা মনে করে যে বন্ধুদের মধ্যে জনপ্রিয়তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি অর্জনের জন্য তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করেন। আপনার সন্তানকে আপনার ব্যক্তিগত উদাহরণ দেখিয়ে বুঝিয়ে বলুন যে নিজের বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে কেউ একজনের অনুমোদন পাওয়ার চেয়ে সৎ শ্রদ্ধাশীল হওয়া ব্যাক্তি মূল্যবান।

৭. পরিবেশকে কদর করুন: আমরা প্রায় নোংরা রাস্তা বা পরিবেশ নিয়ে অভিযোগ করে থাকে। প্রকৃতির কদর করা পরিবার থেকে শিখতে হবে। নিজের সাথে শুরু করুন এবং আপনার সন্তানকে একটা শিক্ষাটা দিন। তাহলে ভালো এবং স্পষ্ট পরিণতি দেখতে পাবেন।

আরো পড়ুনঃ এই ৭ অভ্যাসের পুরুষকে বিয়ে করলেই বিপদ

৮. না বলতে শিখুন: আপনার সন্তানকে প্রাপ্তবয়স্ক, শিক্ষক এমনকি নিজেকে না বলতে শেখান। আপনি যদি একটি দৃঢ় ও ব্যক্তিত্বের সাথে আপনার সন্তানকে প্রতিপালন করতে চান তাহলে কোন ব্যক্তির কমান্ডো মান করানো উচিত নয়। তবে এক্ষেত্রে বিষয় সম্পর্কে দেখতে হবে। না বলার ক্ষমতা প্রাপ্ত বয়স্ক জীবনে সহজেই আসবে।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment