আপনার সন্তানকে পড়াশোনায় মনোযোগী করতে জানুন কিছু উপায়
- কবিতা আক্তার
- মার্চ ২১, ২০২২
বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে বাচ্চাররামোবাইল, ল্যাপটপ, গেমস ইত্যাদি নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকতে পছন্দ করে। বাবা মা হিসেবে আমরা সন্তানদের পড়ায় মনোযোগী করে তুলতে কিছু সাহায্য করতে পারি।
চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কীভাবে বাচ্চাদের পড়ায় আরো মনোযোগী করে তোলা যায়...
আরো পড়ুনঃ সেদ্ধ ডিম কত ঘন্টা পর নষ্ট হয় ?
আনন্দময় করে তুলে: শিশুরা আনন্দ চায়। পড়াশোনা ও যদি আনন্দময় হয়ে ওঠে তবে তা করতে আগ্রহী হবে আপনার সন্তান।
এ কাজটি করার সময় আপনার আচরণই আসল ভূমিকা পালন করে। লেখাপড়া মজাদার ভাবে উপস্থাপন করুন। শিশুটি মজা করার আদলে পড়ার কাজটি সারবে।
সঠিক উপায়ে বেছে নিন: বেশিরভাগ সময় বাচ্চারা মনে করে, লেখাপড়া অন্যান্য ব্যস্ত কাজের মত একটি কষ্টকর কাজ। তারা তো বুঝে না যে তাদের বড় হয়ে বড় কিছু হতে হলে পড়তে হবে।
তাই আপনি যদি শিক্ষা অর্জনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে লেকচার শুরু করেন তবে তারা একে আরো বিরক্তিকর মনে করবে। তাদের জিজ্ঞাসা করুন, তাদের কি করতে ভালো লাগে?
আরো পড়ুনঃ আপনার ঘর থেকে মশা উধাও করবে তেজপাতা। জানুন বিস্তারিত
সেই ভালো লাগার সঙ্গে লেখাপড়া কে যোগ করে বোঝানোর চেষ্টা করুন। একটু বুদ্ধি খাটিয়ে বোঝালেই শিশুরা বোঝে।
পুরস্কৃত করুন: পড়ার জন্য ছোটদের পুরস্কৃত করুন। ঠিকমতো পড়লে দুটো চকলেট কি মন্দ হয়? অথবা একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত পড়লে ৫ মিনিট খেলার সুযোগ। আর এসবের লোভে ঝটপট পড়ার কাজটা সেরে নেবে বাচ্চারা।
টাইম ঠিক করে নিন: প্রতিদিনের নির্দিষ্ট কাজের জন্য নির্দিষ্ট সময় ঠিক করে নিন। বিশেষজ্ঞরা বলেন প্রতি রাতে হোমওয়ার্কের জন্য ৪৫ মিনিট যথেষ্ট সময়।
শিশুকে বলুন যে, তার পড়ার কাজটি অসীম সময় পর্যন্ত নয়। ঘড়িতে অ্যালার্ম দিয়ে বলুন, এটা বেজে ওঠার আগ পর্যন্ত তাদের পড়তে হবে তার বেশি নয়।
আরো পড়ুনঃ যেভাবে বুঝবেন কেউ মিথ্যা বলছে!
প্রশংসা করুন: ছোট বা বড় যে কাজই করুক না কেন শিশুটিকে উৎসাহ দিন। শিশুরা প্রশংসা বা উৎসাহ পেতে দারুন ভালবাসে।
কাজেই পড়াশোনার কারণে যদি এ প্রশংসা পাওয়া যায় তবে তা করতে পিছপা হয় না তারা।
নিজেও পড়ুন: শিশুদের পড়াতে গেলে দেখা যায় তাদের পড়ে পড়ে পড়ানো হচ্ছে। তা না করে নিজে বরং অন্য কিছু পরুন।
আপনার পড়া দেখে শিশুটিও তার পড়া পড়তে উৎসাহ বোধ করবে। আর তার নিজের পড়াটা নিজের করাই উত্তম।