আপনার শিশু পড়তে চায় না? পড়াশোনায় মনোযোগী করার উপায়
- কবিতা আক্তার
- মার্চ ২২, ২০২২
শিশুরা পড়াশোনা করতে চায় না এটা খুবই স্বাভাবিক একটা বিষয়। তাদের পড়াশোনাতে মনোযোগ আনতে প্রতিটি বাবা মায়ের অবস্থা বেশ শোচনীয় হয়ে পড়ে। আবার দেখা যায় খুব সহজ একটি পড়াও বাচ্চারা খুব সহজে মনে রাখতে পারছে না, একটু পরে তারা ভুলে যাচ্ছে।
বিষয়গুলোকে তারা বেশ কঠিন ভাবছে তাই পরবর্তীতে আর পড়তে বসতে চাইছে না। ভেবে দেখুন আপনার সন্তানকে পড়াশোনার সাথে আত্মিক বন্ধনটি তৈরি করতে ব্যর্থ হচ্ছে যার ফলে তারা এ বিষয়টিতে মজা পাচ্ছে না।
জেনে নিন যে পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে শিশুকে মনোযোগী করে তুলতে পারবেন...
আরো পড়ুনঃ স্ট্রবেরি আইসক্রিম বানিয়ে ফেলুন ঘরেই
খেলতে খেলতে পড়ান: বাচ্চারা খেলতে অনেক বেশি পছন্দ করেন। তাই তাদের উপরে এমন চাপ কখনোই তৈরি করবেন না যে তারা খেলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেবে। তাহলে বাচ্চারা অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পড়বে।
তাকে খেলার ছলে কৌশলে পড়াতে হবে। কোন বিষয়ে বাস্তবিক জ্ঞান বুঝিয়ে দিতে হবে। তাকে খেলার ফাঁকে ফাঁকে পড়তে বলুন।
অংক এবং টেকনিক্যাল বিষয়গুলো উদাহরণ দিয়ে
শেখান: বাচ্চারা অংক কষতে ভয় পেয়ে থাকে। এই ভয়ে নিমিষেই দূর করতে পারেন একমাত্র আপনি। অর্থাৎ আপনি তাকে আশেপাশের বিভিন্ন উদাহরণ দিয়ে অংক শিখিয়ে দিন।
আরো পড়ুনঃ হাত সাজবে মেহেদি-চুড়িতে
যেমন ধরুন তার খেলনার সংখ্যা কত, তা থেকে কিছু সংখ্যক বাদ দিলে বাকি কতটুকু থাকে এভাবে অংক শিখিয়ে দিন। এছাড়া বড় ক্লাসের অংক গুলো বাস্তবিক উদাহরণ দিয়ে শিখিয়ে দিন। এছাড়া বাচ্চাদের কিছু খেয়াল না রয়েছে যেগুলো বিল্ডিং মেকিং এর কাজ করে যেমন লেগো সিট।
এগুলো দিয়ে আপনি প্রকৌশলের কিছু বিষয় শিখিয়ে দিতে পারেন। এতে করে তাদের মনে থাকবে বেশি।
পুরস্কার দেয়ার প্রলোভনে না, মজার মাঝে পড়া
শেখান: এটা অনেক বাবা-মা এ করে থাকেন যে পুরস্কার দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে পড়া মুখস্ত করে না। কিন্তু এটা একদিক দিয়ে যেমন ভালো অপর দিক থেকে অনেক ক্ষতিকর একটি বিষয়। এতে করে বাচ্চারা অনেক বেশি লোভী হয়ে গড়ে ওঠে।
এতে করে তারা এই বিষয়ের উপরে নির্ভর হয়ে পড়ে পাশাপাশি কোন কিছু মজা নিয়ে শিখতে পারে না। তাই আপনার সন্তানদের কোন প্রলোভন দেখিয়ে নয় বরং বাস্তবসম্মতভাবে মজার মধ্যে পরা শিখিয়ে দিন।
আরো পড়ুনঃ আপনি একজন এমপ্যাথিযুক্ত মানুষ, নাকি এমপ্যাথিবিহীন ?
বাড়িতে কিছু বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা শিখিয়ে দিন: বাচ্চারা বিজ্ঞান বিষয়টিকেও বেশ ভয় পেয়ে থাকে। এর জন্য এই বিষয়ের পড়া ও তাদের খুব একটা মনে থাকেনা।
এর জন্য আপনি চাইলে বাড়িতে বিজ্ঞানের কিছু পরীক্ষা করে দেখাতে পারেন। এতে করে বাচ্চারা বিষয়টিতে মজা পাবে এবং অনেকটা মজা নিয়ে এই পড়বে। এর ফলে তাদের মনেও থাকবে অনেক বেশি।
গল্পের মতো করে ইতিহাস ব্যাখ্যা: ইতিহাস মনে রাখা অনেক কষ্টকর। বাচ্চারা এটা আরো অনেক বেশি ভুলে যায়।
এ কারণে আপনি একটু বুদ্ধি করে তাদের গল্পের মতো করে ঐতিহাসিক ঘটনা গুলো বুঝিয়ে দিন। এতে করে তারা গল্পের মধ্যে দিয়ে এটা মনে রাখবে এবং কখনো ভুলবে না।