স্বামী ও স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ কেমন হওয়া উচিত ?

  • ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
  • অক্টোবর ২৮, ২০১৭

বিয়ের সময় আমরা পাত্র - পাত্রীর চেহারা, বংশের নাম - দাম, চাকরি - বাকরি এবং টাকা - পয়সা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। ভবিৎষতে যে বিষয়টা প্রকট আকার ধারণ করতে পারে সে বিষয়ে একদম উদাসীন থাকি।  বলছিলাম রক্তের গ্রুপের কথা।

স্বামী স্ত্রীর রক্তের গ্রুপের সাথে তাদের অনাগত সন্তানও জড়িত।  চলুন দেখে নেই বিস্তারিত।

স্বামী স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ যদি এক হয় তাহলে বিভিন্ন ধরণের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি তাদের অনাগত সন্তানেরও সমস্যা হতে পারে। কিছু বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ রয়েছে।

আমাদের শরীরে রক্তের গ্রুপ দুইটি প্রক্রিয়ায় নির্ণয় করা হয়।  প্রথমটি হলো ABO System. যা মূলত রক্তের গ্রুপ যেমন : A, B, AB, O নির্ণয় করে, দ্বিতীয়টি Rh factor বা রেসাস ফ্যাক্টর। Rh factor -কে আবার দুইটি ভাবে ভাগ করা হয়েছে - Rh+বা আর এইচ পজেটিভ এবং Rh- বা আর এইচ নেগেটিভ। রক্তে ABO System এর সাথে রেসাস ফ্যাক্টর যুক্ত হলে রক্তের গ্রুপ যুক্ত হয়। এর মাধ্যমেই রক্তের গ্রুপ পজেটিভ নেগেটিভ হয়ে থাকে।

স্বামীর রক্তের গ্রুপ যদি নেগেটিভ হয়, স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ পজেটিভ নেগেটিভ যেকোনো একটি হলেই হবে। তবে স্বামীর রক্তের গ্রুপ যদি পজেটিভ হয় তবে স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ অবশ্যই পজেটিভ হতে হবে।

রক্তের গ্রুপ এক হলে যে ধরণের সমস্যা হতে পারে :

স্বামীর রক্ত পজেটিভ এবং স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ হলে শরীরে লিথাল জিন বা মরণ জিন তৈরী হয় যা তাদের মিলনে সৃষ্ট জাইগোটকে মেরে ফেলে। ফলে অনেক সময় মৃত বাচ্চার জন্ম হয়। স্বামীর রক্ত যদি পজেটিভ হয় তাহলে ন্তানের রক্তের গ্রুপও পজিটিভ হয়। স্বামীর রক্তের গ্রুপ পজেটিভ আর স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ হয়ে থাকলে স্ত্রী পজেটিভ গ্রুপের একটি ফিটাস বা ভ্রুণ ধারণ করে থাকে।

ডেলিভারীর সময় পজেটিভ ফিটাসের ব্লাড, প্লাসেন্টাল ব্যারিয়ার বা ভ্রুণফুল displacement ঘটে। ফলে স্ত্রীর শরীরে নতুন ব্লাড গ্রুপের একটি আর এইচ এন্টিবডি তৈরি হয়। প্রথম সন্তান জন্মের সময় এটি কোনো সমস্যা তৈরী করে না। দ্বিতীয়বার সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে পূর্বের সন্তান জন্মের সময়ে তৈরি হওয়া আরএইচ এন্টিবডি শরীরের ভ্রুণের প্লাসেন্টাল ব্যারিয়ারকে ভেঙ্গে ফেলতে পারে। এর ফলে দ্বিতীয় সন্তান জন্মের সময়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ কিংবা মৃত সন্তানের জন্ম হতে পারে। একে মেডিকেলের ভাষায় আরএইচ incompatibility বলা হয়।

সুতরাং, একই গুরুপের কিন্তু একজনের যদি ( +এবং অন্যজনের যদি (-)  হয়  সে ক্ষেত্রে   বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করাতে কোন অসুবিধা নেই। তবে একই গ্রুপ আবার দুজনের (++, বা - -) হয় তবে ভবিষ্যতে মা এবং সন্তানের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবে।  

তথ্য এবং ছবি : গুগল 

 

Leave a Comment