হিট স্ট্রোকের লক্ষণ ও চিকিৎসা
- কবিতা আক্তার
- জুন ২৮, ২০২২
হিট স্ট্রোকের রোগীর দ্রুত চিকিৎসা করা না হলে মস্তিষ্ক, হৃদপিণ্ড, কিডনি ও শরীরের নানা অঙ্গে তার প্রভাব পড়তে পারে। এমনকি পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। চিকিৎসা শুরু করতে দেরি হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
হিট স্ট্রোক এর লক্ষণ কি কি?
- শরীরের তাপমাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া, ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট ও হয়ে যেতে পারে। এসময় তেমন ঘাম হয় না।
- কথা জড়িয়ে যেতে পারে, ব্যবহারে অসংলগ্নতা টের পাওয়া যায়। এমনকি আক্রান্ত ব্যক্তি কোমাতেও চলে যেতে পারেন।
- মাথা ঘোরা ও বমি হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ আলু দিয়ে মলা মাছ রান্না
- ত্বকের রং হঠাৎই লাল হয়ে যেতে পারে, শরীরের তাপমাত্রা বাড়লে ত্বকের রঙও লাল হয়ে যায়।
- শ্বাস-প্রশ্বাস অস্বাভাবিক হয়ে যায় হৃদস্পন্দনও বেড়ে যেতে পারে।
- মাথায় প্রবল ব্যথা অনুভব হতে পারে।
হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে দ্রুত যা করবেনঃ
বিশেষজ্ঞদের মতে, কারো মধ্যে হিট স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত তাকে ছায়ার মধ্যে নিয়ে যেতে হবে। গায়ের অতিরিক্ত কাপড় খুলে ফেলে রোগীকে শীতল করার ব্যবস্থা করতে হবে। মোজা-জুতা খুলে ফেলতে হবে।
আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে তাপমাত্রা কমাতে ঠান্ডা বা বরফ মিশ্রিত পানি দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বিশেষ করে রোগীর বগল, কুচকি, ঘাড় সহ নানা স্থান ভেজা তোয়ালে দিয়ে বারবার মুছে দিতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে শুইয়ে দিয়ে পা একটু উঁচু বা মাথা একটু নিচের দিকে রাখা ভালো।
রোগের জ্ঞান থাকলে পানি, ডাবের পানি, ফলের শরবত অথবা খাবার স্যালাইন পান করতে দিতে হবে। যদি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে, তবে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া লাগবে। এ অবস্থায় ঘরে চিকিৎসা করার সুযোগ নেই।
প্রতিরোধে করণীয়:
- সূর্যের রোদের সবচেয়ে প্রখরতা সময়টুকু এড়িয়ে চলুন, প্রয়োজনে সে সময় ছাতা নিয়ে বের হন। কিংবা বড় কোন হ্যাট সানগ্লাস রাখুন বাইরে বের হওয়ার সময়।
আরো পড়ুনঃ ত্বকের বলিরেখা দূর করার প্রাকৃতিক উপায়
- শরীরে পানিশূন্যতা যেন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। গরমে ও রোদে প্রচুর পরিমাণ পানি, ডাবের পানি, স্যালাইন খান।
- দুপুরের প্রচণ্ড রোদে ভারী কাজ বা শারীরিক ব্যায়াম করবেন না।
- গরমে বাইরে বেরোলে সাদা বা হালকা রঙের কাপড় পড়ুন।
- গরমের সময় চা, কফি, সিগারেট যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন এগুলো শরীরে পানিশূন্যতা বাড়িয়ে দেয়।
- শরীর ঠান্ডা রাখে এমন খাবার খান।