ডায়াপার ব্যবহারে শিশুর র্যাশের সমস্যা!
- কবিতা আক্তার
- আগস্ট ৪, ২০২২
সাধারণত নবজাতক থেকে শুরু করে দুই বছরের শিশুদের একটি কমন সমস্যা দেখা দেয়। সেটা হলো ডায়াপার ব্যবহারের র্যাশের প্রাদুর্ভাব। ডায়াপার ব্যবহারের ফলে পেটের নিচের অংশে, কুচকির কাছে ও পশ্চাৎদেশের অংশে লাল ছোট ছোট র্যাশ দেখা দেয়।
ডায়াপার ব্যবহারের ফলে এই সমস্যাটি হরহামেশাই দেখা দেয়। এতে করে শিশুরা ডায়াপার পড়তে অস্বস্তি বোধ করে। ডায়াপার র্যাশের সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য খুবই সাধারণ কিছু পদ্ধতি জেনে রাখলে নিশ্চিন্ত থাকা যাবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কিছু উপায়...
আরো পড়ুনঃ সুজির ঝাল ঝাল পিঠা
বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে: বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আলো বাতাসের অভাবে র্যাশ দেখা দেয়। বদ্ধ স্থানে অতিরিক্ত আদ্রতা থেকে র্যাশের সৃষ্টি হয়। ডায়াপারের কারণে ডায়াপার লাইনে র্যাশ দেখা দিলে কিছুদিনের জন্য ডায়াপার ব্যবহার থেকে দূরে থাকতে হবে এবং বেবি পাউডার ব্যবহার করতে হবে।
ব্যবহার করতে হবে ক্যাস্টর অয়েল: শারীরিক ব্যথা ও ডায়াপারের দরুন র্যাশের সমস্যা দেখা দিলে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। প্রাকৃতিক এই তেলটি এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান থাকায়, যা দ্রুত র্যাশের সমস্যা কমাতে কাজ করে এবং র্যাশের হলে তৈরি জ্বালাপোড়াভাবকে কমাতে কাজ করে।
ব্যবহার করতে হবে পেট্রোলিয়াম জেলি: ব্যারিয়ার অয়েন্টমেন্ট হিসেবে কাজ করে পেট্রোলিয়াম জেলি। প্রতিবার ডায়াপার এর পরিবর্তনের সময় ডায়াপার লাইন বরাবর পেট্রোলিয়াম জেলি আলতো ভাবে ম্যাসাজ করে নিয়ে ডায়াপারের খসখসে ভাব শিশুর কোমল ত্বকে কোন প্রভাব ফেলতে পারবে না। অনেক সময় ত্বকের শুষ্কতা থেকে র্যাশের সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে পেট্রোলিয়াম জেলি সবচেয়ে উপকারী উপাদান।
আরো পড়ুনঃ আপনার চুলে ভলিউম নিয়ে আসবেন যেভাবে !
ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া: বেশিরভাগ শিশুর ক্ষেত্রে সাময়িক র্যাশের সমস্যা উপরোক্ত যে কোন নিয়ম মেনে চললেই ভালো হয়ে যায়। তবে র্যাশের সমস্যাটি যদি দীর্ঘদিন যাবত রয়ে যায় এবং ঘন ঘন দেখা দেয় তবে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।