বয়স্কদের শোবার ঘর যেভাবে সাজাতে পারেন!
- কবিতা আক্তার
- সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২২
প্রায় সব পরিবারেই বয়স্ক বা বৃদ্ধ মানুষ আছেন। তারা আমাদের পরিবারের খুবই গুরুত্বপূর্ণ মানুষ। তাই তাদের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। শিশুদের ঠিক যেভাবে যত্ন নিতে হয় বয়স্ক মানুষদেরও সেভাবেই যত্ন নিতে হবে।
বয়স্কদের শোবার ঘর তাদের সুবিধা অনুযায়ী সাজানো দরকার। হাতের নাগালেই যেন সব পেয়ে যায়। তেমনই নিরাপদ কিনা সেই দিকটাও নজরে রাখতে হবে।
ঘরের মেঝে: ঘরের মেঝে বা বাথরুমের মেঝে যেন পিচ্ছিল না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। সহজেই যেন পিছলে পড়ে না যায়। আপনি চাইলে পুরো ঘরে কার্পেট বিছিয়ে দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে পিছলে পড়ে যাওয়ার কোন ভয় থাকবে না।
আরো পড়ুনঃ ডিভোর্স কমানোর কিছু কার্যকরী উপায় !
তবে কার্পেটে ধুলো ময়লা জমে থাকতে পারে। নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। আর যদি এলার্জি থেকে থাকে তাহলে কার্পেট না বিছানোই ভালো।
মেঝের উপর ছোট ছোট ম্যাট না রাখা ভালো। বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ধরনের মেঝের ডিজাইন পাওয়া যাচ্ছে। যেমন কাঠের মেঝে, রাবারের মেঝে, লেমিনেট ইত্যাদি।
দরজার হাতল: লিভার যুক্ত হাতল দরজায় লাগাতে পারেন। বয়স্ক ব্যক্তির জন্য দরজার হাতলটি নড়াচড়া করতে সহজ হবে। লিভারগুলোতে ভালো গ্রিপ পাওয়া যায়। সাধারণ দরজার তুলনায় খুলতে কম শক্তির প্রয়োজন হয়।
স্মার্ট হোম প্রযুক্তি: স্মোক ডিটেক্টর রাখতে পারেন। এতে ঘরে আগুনের ধোঁয়া পাওয়ার সাথে সাথেই অ্যালার্ম বেজে উঠবে। ঘরে ইলেকট্রনিক তার থাকলে সেগুলো সুন্দর করে গুছিয়ে রাখতে হবে।
দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে ব্যবহার করতে পারেন স্মার্ট প্লাগ। তার ছাড়া সুইচ টিপে বিছানায় বসে থেকেই লাইট বা ফ্যান চালাতে পারবে।
আলমারি এবং আসবাবপত্র: আলমারি বা আলনা যেটাই হোক সেগুলোর তাক যেন হাত দিলেই ধরা যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বয়স্ক মানুষের জন্য হাত বাড়িয়ে কোন জিনিস নিতে অসুবিধা হতে পারে।
হাতের নাগালে তাক থাকলে কাপড় বা অন্যান্য জিনিস নিতে সুবিধা হয়। চলাচলের জায়গা যতটা সম্ভব খোলা রাখতে হবে। খুব বেশি আসবাবপত্র দিয়ে জ্যাম না করাই ভালো।
আরো পড়ুনঃ জেনে নিন কুর্তির প্রকারভেদ এবং ডিজাইন সম্পর্কে
ঘরের আলো: বয়স্ক বা বৃদ্ধরা চোখে বেশিরভাগ সময় কম দেখেন। তাই ঘরের আলো উজ্জ্বল হওয়া দরকার। কম আলোতে তাদের দেখতে অসুবিধা হতে পারে।
বিছানা: বিছানা বা খাট মাটি থেকে খুব উপরে বা নিচে থাকা উচিত নয়। এটা তাদের বিছানা থেকে নামতে এবং উঠতে অসুবিধা হতে পারে। খাটের উচ্চতা সঠিক হওয়া দরকার।
এছাড়া খুব নরম বিছানায় শোয়া উচিত নয়। এতে মেরুদন্ডের অসুবিধা হতে পারে। বিছানার পাশে এমন কিছু রাখতে হবে যাতে করে এতে ভর দিয়ে বিছানা থেকে উঠতে পারে।