
গর্ভাবস্থায় যেসব পানীয় গর্ভবতী ও শিশুকে সুস্থ রাখবে
- কবিতা আক্তার
- সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২
অনেকেরই গর্ভবতী অবস্থায় বিশেষ কিছু খাবার খাওয়ার প্রতি টান থাকে। কারো আইসক্রিম, চকলেট, মসলাদার খাবার খেতে ইচ্ছে হয়, কেউ আবার টক, ঝাল খাবার বা আচার খেতে চান।
কিন্তু গর্ভাবস্থায় মা এবং গর্ভস্থ শিশু উভয়েই সুস্থ থাকতে হলে বেশ কিছু পানীয় নিয়মিত খাওয়া অত্যন্ত জরুরি...
ডাব: ডাব সবচেয়ে পুষ্টিকর প্রাকৃতিক পানীয়। ডাবে থাকে সোডিয়াম, পটাশিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের মত খনিজ লবণগুলো ভ্রুনের বৃদ্ধি এবং বিকাশের মূল নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে।
আরো পড়ুনঃ ‘বিয়ের পর তো চাঁদনী চকেই নিয়ে যেতে পারলা না?’
এছাড়াও ডাবে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি এবং সি রয়েছে। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অনেক নারী অম্বল, এসিডিটি এবং কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন। ডাব এই সকল সমস্যা খুব সহজেই দূর করতে পারে।
টাটকা ফলের রস: ফলের রস গর্ভবতী নারীদের ডায়াটরি ফাইবার সরবরাহ করে। গর্ভাবস্থায় সব ধরনের মৌসুমী ফলের রস খাওয়া যেতে পারে। প্রায় সমস্ত ফলই আমাদের দেহে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এবং খনিজ সরবরাহ করে যা ক্রমবর্ধমান শিশুর জন্য অপরিহার্য।
স্যুপ: গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন সবজি দিয়ে তৈরি স্যুপ নিয়মিত গ্রহণ করা উচিত। স্যুপ আমাদের শরীরে পুষ্টি সরবরাহ করে এবং গর্ভাবস্থায় যে সকল নারীরা খাবার খেতে চান না তাদের ক্ষুধা বাড়াতে সাহায্য করে। ব্রকলি, গাজর, বাঁধাকপি, পেঁয়াজ, টমেটো এই সবজি দিয়ে তৈরি স্যুপ দেহে প্রোটিন এবং ফাইবার সরবরাহ করে।
বাটার মিল্ক: বাটার মিল্ক বা ঘোল পাচনতন্ত্রকে প্রশমিত করে এবং গর্ভাবস্থায় অম্বলের সমস্যা দূর করে। গরমকালে দিনের বেলা এই পানীয় খেলে শরীরে তরল এবং লবণের ঘাটতি দূর হয়।
আরো পড়ুনঃ ভালোবাসার মানুষকে না পাওয়া খুব কি কষ্টের !
দুধ: দুধ হলো ক্যালসিয়ামের অন্যতম উৎস। শিশুর হাড় ও দাঁতের বিকাশের জন্য পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই গর্ভবতী নারীদের নিয়মিত দুধ এবং দুগ্ধজাত দ্রব্য খাওয়া আবশ্যক।
লেবু পানি: লেবু পানি এক ধরনের শক্তিদায়ক পানীয়। সকালে এক চা চামচ মধুর সঙ্গে উষ্ণ লেবু পানি খেতে পারেন। এই সাইট্রাস ফলটি ভিটামিন সি এর পাওয়ার হাউস। যা হজমে সাহায্য করে, বমি বমি ভাব দূর করে, মর্নিং সিকনেস এবং পেটের ফোলা ভাব উপশম করতে সহায়তা করে।
শাক সবজির রস: ফলের রসের মত শাক সবজির জুস করেও খেতে পারেন। শাকসবজি ফাইবার, ভিটামিন, প্রোটিন এবং খনিজের দুর্দান্ত উৎস। এর জন্য গাজর, বীট, শসা এবং পালং শাক ব্যবহার করতে পারেন।
পানি: গর্ভবতী নারীদের সারাদিন প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়া উচিত। এর অগণিত উপকারিতা রয়েছে। পানি কেবলমাত্র ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করে না, এর পাশাপাশি হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে, মুড ঠিক রাখে এবং শরীর থেকে টক্সিন বের করে।