ওজন কমাতে অতিরিক্ত শসা খাচ্ছেন? বিপদ ডেকে আনছেন না তো!
- কবিতা আক্তার
- অক্টোবর ২৩, ২০২২
শসা মানেই সহজে হজম এবং ওজন কমানোর ওষুধ। এটাই চলতি ধারনা। কিন্তু এই স্বাস্থ্যকর শসা থেকে ঘটে যেতে পারে বড় বিপদ। অত্যাধিক শসা খেলে স্বাস্থ্যের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সমস্যাগুলো সম্পর্কে...
- অনেক সময় সদ্য কাটা শসাও তেতো লাগে। আর তেতো শসা মানেই তা টক্সিক। কারণ শসাতে কিউকারবিটাসিন এবং টেট্রাসাইক্লিক ট্রাইটারপেনিওডের মতো রাসায়নিক থাকে যা শশাকে তিক্ত করে তোলে।
আরো পড়ুনঃ ওজন কমানোর পাশাপাশি ত্বকের যত্নে ব্যবহার করুন ওটস
এই বিষাক্ত রাসায়নিকগুলো স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক এবং এর প্রভাবে মারাত্মক এলার্জিও হতে পারে। তাই তেতো শসা খাওয়া অত্যন্ত বিপদজনক।
- শসা ফাইবার সমৃদ্ধ এবং এতে প্রচুর পরিমাণে কিউকারবিটিন রয়েছে। এই কিউকারবিটিন যৌগটিকে মূত্রবর্ধক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তবে শসার মধ্যে মূত্রবর্ধক যৌগের পরিমাণ হালকা। তাই বেশি শসা খেলে ডিহাইড্রেশন এর সমস্যা হতে পারে।
- শসা হলো পটাশিয়ামের দুর্দান্ত উৎস, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। তবে অতিরিক্ত খাওয়া হলে হাইপার ক্যালেমিয়ার মত রোগ দেখা দিতে পারে। বেশি শসা শরীরে পটাশিয়ামের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে পেটে ফোলা ভাব, ক্র্যাম্প, গ্যাস এবং কিডনিও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
- শসাতে প্রায় ৯০ শতাংশ পানি থাকে। আর শরীরে যত বেশি পানি যাবে রক্তের পরিমাণ তত বেশি হবে। এর ফলে রক্তনালী এবং হৃদপিন্ডের উপর চাপ পড়ে। হলে হার্ট এবং রক্তনালীর ক্ষতি হয়।
আরো পড়ুনঃ গরমে ঘর শীতল রাখে যেসব ইনডোর প্লান্ট
- যারা সাইনোসাইটিস বা কোন ক্রনিক রেসপিরেটরি সমস্যায় ভুগছেন, তাদের শসা না খাওয়াই ভালো। চিকিৎসকদের মতে এই সবজির শীতল প্রভাবে রেসপিরেটরি সমস্যা আরো বাড়িয়ে তোলে।