শিশুর মানসিক বিকাশে অবশ্যই খাওয়াবেন যেসব খাবার
- কবিতা আক্তার
- নভেম্বর ২৩, ২০২২
বয়সের সাথে সাথে শিশুর মানসিক বিকাশ ঘটতে থাকে। শিশুর মানসিক বিকাশের জন্য খাবারের গুরুত্ব অপরিসীম। এমন কিছু খাবার রয়েছে যা নিয়মিত খাওয়ালে শিশুর মানসিক বুদ্ধি বৃদ্ধি পাবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেসব খাবার সম্পর্কে।
মায়ের দুধ: শিশুর মানসিক বিকাশে মায়ের দুধের বিকল্প নেই। শিশুর জন্মের পর কমপক্ষে ৬ মাস পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত।
মায়ের দুধে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় তেজপাতা
গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিশু নিয়মিত মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো হয় তাদের স্মৃতিশক্তি এবং মস্তিষ্কের বিকাশ অন্যদের চেয়ে ভালো।
ডিম: শিশুর মানসিক বিকাশে ডিম একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার। ভিটামিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়োডিন, কোলন সহ বেশ গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ রয়েছে। ডিমে থাকা কোলন শিশুর মস্তিষ্ক গঠনে সহায়তা করে।
বাদাম: বাদামে রয়েছে ভিটামিন বি ৩, যা মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায়। পেস্তা বাদাম, কাজুবাদাম, চিনা বাদামসহ সব ধরনের বাদামও শিশুর মস্তিষ্ক বৃদ্ধি গঠনে সহায়ক। বাদামে থাকা উপাদান মস্তিষ্কের রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দেয়। ফলে মস্তিষ্ক সুস্থ থাকে। সেই সাথে স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটে।
আখরোট: শিশুর মস্তিষ্কের যেকোনো রোগ থেকে রক্ষা করতে আখরোট সাহায্য করে। আখরোটে রয়েছে, ভিটামিন ই, ফলেট, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং খনিজ তাছাড়া ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড রয়েছে।
শাকসবজি: শিশুর মস্তিষ্কের নতুন কোষ গঠনের শাকসবজির ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাতাকপি ও পালং শাকে রয়েছে ভিটামিন কে এবং বিটা ক্যারোটিন। ভিটামিন কে এবং বিটা করোটিন শিশুর স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
আরো পড়ুনঃ সকালে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করতে চাইলে যা করবেন
এছাড়া নিয়মিত আপনার শিশুকে টমেটো খাওয়াতে পারেন। টমেটো মস্তিষ্কের কার্যকরীতা বৃদ্ধি করে।
ডার্ক চকলেট: ডার্ক চকলেট মস্তিষ্কে নিউরন তৈরি করে যা নতুন বিষয় মনে রাখতে সাহায্য করে। এটি শিশুর মস্তিষ্ক সতেজ রাখে। ডার্ক চকলেট মানসিক দুর্বলতা কমায় এবং মস্তিষ্কের রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক রাখে।
সামুদ্রিক মাছ: মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সামুদ্রিক মাছের জুড়ি নেই। সামুদ্রিক মাছে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, জিঙ্ক। শিশুকে সপ্তাহে অন্তত ৩-৪ দিন মাছ ও মাছের তেল খাওয়ানো উচিত। সামুদ্রিক মাছ দেহে অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এছাড়া এসব মাছ হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী।
কলা: কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট। কলা শিশুর মনোযোগ বৃদ্ধি করে। এছাড়াও কলায় পটাশিয়াম থাকায় মস্তিষ্কে দ্রুত শিখতে সাহায্য করে। কলাতে আরও আছে ভিটামিন -৬।
যা শিশুর মনকে চাঙ্গা করে তোলে। কলার আপডেট শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি করে এবং বিষন্নতা কমিয়ে মস্তিষ্কে সুখী হরমোনের নিঃসরণ বাড়ায়।
আরো পড়ুনঃ চুল ভেঙ্গে যাওয়া রোধ করবে যে ৫ তেল
মধু: মানব দেহের উপকারের ক্ষেত্রে মধুর চেয়ে শক্তিশালী আর কোন খাবার নেই। মধুতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, পটাশিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি। শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে খুবই প্রয়োজন। মধু দেহের পেশির ক্লান্তি দূর করে। তাছাড়া মধু রক্তে হিমোগ্লোবিনের ভারসাম্য বজায় রাখে।