আয়োডিনের অভাব হলে গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হতে পারে!
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- জানুয়ারি ৩, ২০২৩
আয়োডিন শিশুর বিকাশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধি এবং বিকাশ নিশ্চিত করতে গর্ভবতী নারীকে অবশ্যই আয়োডিন গ্রহণ করতে হবে।
গর্ভবতী মায়ের শরীরে আয়োডিনের অভাব থাকলে গর্ভের শিশুর যেসব সমস্যা হতে পারে সে সম্পর্কে জেনে নিন...
- দেহে আয়োডিনের ঘাটতির অন্যতম সাধারণ পার্শপতিক্রিয়া হল ক্রিটিনিজম। এক্ষেত্রে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ কমে যেতে পারে। এতে শিশু পরবর্তীতে মানসিক রোগ হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ মুখের কালো দাগ ও লোম তুলবে মসুর ডাল
- আয়োডিনের ঘাটতি গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি কমে যায়। শিশুর মানসিক বৃদ্ধি ও শারীরিক বিকাশে বাধা দেয়। গর্ভবতী মায়ের শরীরে আয়োডিনের অভাব থাকলে তা শিশুর ওপর আজীবন প্রভাব ফেলে।
- বিরল হলেও গয়টার ( গলায় ফোলাভাব ) নবজাতক শিশুদের মধ্যেও থাকতে পারে। এটি অত্যন্ত বিপদজনক এবং শিশুদের স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপকে প্রভাবিত করতে পারে।
- আয়োডিনের ঘাটতি হলে গর্ভপাত ঘটতে পারে। গর্ভপাত কেবল হৃদয়বিদারক নয়, বিপদজনকও বটে। পরবর্তী গর্ভধারণের ক্ষেত্রে বিরাট প্রভাব ফেলে গর্ভপাত।
আয়োডিনের অভাবে যেসব উপসর্গ দেখা দেয়-
- ভঙ্গুর নখ, চুল পাতলা এবং অমসৃণ হয়ে যাওয়া।
- চোখের ফোলা ভাব, শুষ্ক এবং বিবর্ণ ত্বক।
আরো পড়ুনঃ নতুন চুল গজাবে একমাসেই
- কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি, পেশিতে ব্যথা, ধীরগতিতে কথা বলা এবং শ্রবণশক্তি চলে যাওয়া।
- থাইরয়েড, স্তন, প্রোস্টেট এবং অন্যান্য প্রজনন তন্ত্র সম্পর্কিত সমস্যা।
- স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া ইত্যাদি।
আয়োডিন সমৃদ্ধ কিছু খাবার: গর্ভাবস্থায় আয়োডিনের ঘাটতি পূরণে আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রয়োজন।
আয়োডিন সমৃদ্ধ বিভিন্ন খাবারের মধ্যে রয়েছে ডিম, চিংড়ি, দুধ, টুনা মাছ, দই, কলা, স্ট্রবেরি, সবুজ শাকসবজি, মিষ্টি আলু, বাদাম ইত্যাদি।