নরমাল ডেলিভারি চাইলে যা করবেন
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- জানুয়ারি ৪, ২০২৩
ইদানিং কালে দেখা যায় মায়েরা সঠিক নির্দেশনা না পাওয়ার কারণে কুসংস্কারগুলো ফলো করতে থাকে এবং স্বাভাবিক ও সহজ পথ থেকে দূরে সরে যায়। তাই কিভাবে নরমাল ডেলিভারির প্রস্তুতি সঠিকভাবে মায়েরা নিতে পারেন তার কিছু গাইডলাইন দেয়া হলো-
১. নরমাল ডেলিভারির প্রস্তুতির প্রথম শর্তই হলো ওজন স্বাভাবিক রাখা। এটি স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল মেইনটেইন করতে হবে যাতে শরীরের ওজন স্বাভাবিক থাকে। ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কম বা বেশি হলে নরমাল ডেলিভারি সম্ভাবনা কমে যায় এবং ডেলিভারির সময় বিভিন্ন ধরনের জটিলতা হতে পারে।
২. যাদের প্রেগনেন্সির পূর্ব থেকেই বিভিন্ন ধরনের মেডিকেল সমস্যা যেমন- প্রেসার বা ডায়াবেটিস আছে তাদেরকে নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শে চলতে হবে, যাতে গর্ভাবস্থায় এ সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণে থাকে।
আরো পড়ুনঃ খাঁটি চা পাতা চিনবেন যেভাবে
৩. যাদের একবার সিজার হয়েছে তারাও পরবর্তীতে নরমাল ডেলিভারির চেষ্টা করতে পারেন। তবে এটি ডিপেন্ড করবে পূর্ববর্তী সিজার কি কারণে হয়েছিল এবং আরো কিছু ফ্যাক্টর এর উপর। বাংলাদেশের কিছু কিছু কর্পোরেট হাসপাতালে ডেলিভারি প্র্যাকটিস করা হয়।
৪. প্রেগন্যান্সির প্রথম থেকেই মায়েদের উচিত নরমাল অ্যাক্টিভিটি চালিয়ে যাওয়া। কিছু কিছু প্রেগন্যান্ট মায়েরা ( প্লাসেন্টা প্রিভিয়া, প্রিটার্ম ডেলিভারির হিস্ট্রি ইত্যাদি ) ছাড়া অন্য সবাইকে সময় হালকা থেকে মাঝারি মানের ব্যায়াম এবং সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন ২০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করতে পারবেন।
অনেকে প্রেগনেন্ট হলে এভাবে এখন তাকে রেস্টে থাকতে হবে। যার ফলে ডায়াবেটিস, প্রেসার, ওজন বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন মেডিকেল ডিসঅর্ডার হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায় এবং নরমাল ডেলিভারি সম্ভাবনা কমে যায়।
৫. মানসিক প্রস্তুতি এখানে একটি বড় ভূমিকা রাখে। সব মায়েদেরই মনে রাখতে হবে নরমাল ডেলিভারির একটি কষ্টকর প্রক্রিয়া হলেও মা এবং বাচ্চা উভয়ের জন্য এর সুফল রয়েছে। আর ডেলিভারি পেইন সহ্য করার মতো মানসিক প্রস্তুতি শুধু মাকে নিলেই চলবে না। পরিবারের অন্যান্যদের উৎসাহ এবং সাপোর্ট এক্ষেত্রে অতি জরুরী।
আরো পড়ুনঃ অল্পতেই বমি বমি ভাব? দূর করার উপায় জানুন
৬. ডেলিভারি পেইন উঠানোর জন্য কোন ধরনের ঔষধ বা খাবারের দরকার হয়না। এটি আল্লাহর প্রদত্ত একটি প্রক্রিয়া যা স্বাভাবিক নিয়মে হয়। একটি নির্দিষ্ট সময় অপেক্ষার পরও না হলে ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে ইন্ডাকশন এর মাধ্যমে ডেলিভারি পেইন ওঠানো সম্ভব। এ জন্য অধিক টেনশন বা দুশ্চিন্তা না করে একজন গাইনোকোলজিস্টের পরামর্শে থাকবেন।
সবশেষে আরেকটি বিষয় মনে রাখতে হবে, সবরকম মানসিক প্রস্তুতি থাকা সত্বেও কিছু কিছু জটিলতা দেখা দিতে পারে যখন নরমাল ডেলিভারির চেষ্টা করলে মা ও বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে এসময় সিজারের সিদ্ধান্ত নিতে দেরি না করাই ভালো।